সুপর্ণা মজুমদার: ‘যব তক টাইগার মরা নেহি…তব তক টাইগার হারা নেহি’— হ্যাঁ, এই এক সংলাপেই ‘টাইগার ৩’কে (Tiger 3) ব্যাখ্যা করা যায়। যেখানে সলমন আছেন সলমনেই (Salman Khan)। আজও অবিনাশ, অবিনশ্বর তাঁর মহিমা। যার টানে সাতসকালের শোয়েও আসেন দর্শক। ক্যাটরিনাও কমতি যান না। অ্যাকশন দৃশ্যে অপ্রতিরোধ্য অভিনেত্রী।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘এক থা টাইগার’। বলতে গেলে সেই ছবির হাত ধরেই যশরাজ ফিল্মসের ‘স্পাই ইউনিভার্স’-এর সূত্রপাত। এর পাঁচ বছর পর মুক্তি পায় ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। এবার ‘টাইগার ৩’র পালা। সলমনের সামনে লড়াই কিন্তু এই ছবিতে আগের থেকে অনেক বেশি কঠিন। কারণ ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। তবে বক্স অফিসের ফলাফল যাই হোক, ভাইজান এবার সত্যিই দিওয়ালি ধামাকা উপহার দিলেন ভক্তদের।
গল্প শুরু হয় এজেন্ট গোপীকে (রণবীর শোরে) উদ্ধারের মিশন দিয়ে। মৃত্যুর আগে টাইগারকে গোপী জানায় তাঁর স্ত্রী জোয়া (ক্যাটরিনা কাইফ) ডাবল এজেন্ট হয়ে গিয়েছে। সত্যিই কি তাই? জানার চেষ্টা করে টাইগার। তার পর থেকে গল্পে একের পর এক মোড়। জানা যায়, পাকিস্তানের প্রাক্তন এজেন্ট আতিশ রহমানের কারসাজিতেই এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে জোয়া। আতিশের লক্ষ্য? স্ত্রীর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে মেরে নিজে সেই স্থান দখল করা।
[আরও পড়ুন: বিরাটদের দিওয়ালি পার্টিতেই স্পষ্ট অনুষ্কার বেবিবাম্প! দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে কেন চুপ বিরুষ্কা?]
আতিশের কারসাজিতেই পাকিস্তানের জেলে বন্দি হয়ে যায় টাইগার। তার পর? হ্যাঁ, এবার ‘পাঠান’ শাহরুখের পালা। হলে তখন চিল-চিৎকার। এক ক্যামিওতেই অ্যাকশনের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন শাহরুখ। সিনেমার একেবারে শেষে ‘ওয়ার’-এর মেজর কবীর অর্থাৎ হৃতিক রোশনকেও দেখা গিয়েছে।
তবে শেষ পর্যন্ত এ গল্প টাইগারেরই। সে কি পারবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ বাঁচাতে? তা তো সিনেমা হলে গিয়েই দেখতে হবে। কারণ সত্যিই এ সিনেমা বড় পর্দায় দেখার। আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে। আবার পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজার দৃশ্যও রয়েছে। সলমন খান অবশ্যই লার্জার দ্যান লাইফ। এবার নিজেকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। ক্যাটরিনা সংলাপের চেয়ে বেশি অ্যাকশনেই মন দিয়েছেন। বাকি চরিত্ররা নিজেদের ভূমিকা পালন করেছেন। RAW-এর প্রধান হিসেবে রেবতী বড় ম্লান।
অবশ্য সেই খামতি অবশ্য পূরণ করে দিয়েছেন পরিচালক মণীশ শর্মা ও চিত্রনাট্যকার তথা প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। গল্পের টাইমলাইনে তাঁরা অতীত এবং বর্তমানকে সুন্দরভাবে মিশিয়ে দিয়েছেন। আর বলতেই হবে ইমরান হাশমির কথা। আতিশের চরিত্রে প্রাণ দিয়েছেন তিনি। নিজের অভিনয়ে কোনও আতিশয্য রাখেননি অথচ ধুরন্ধর খলনায়ক হয়ে উঠেছেন। এমন অভিনেতাকে ব্যবহার করলে বলিউডেরই লাভ।
সিনেমা – টাইগার ৩
অভিনয়ে – সলমন খান, ক্যাটরিনা কাইফ, ইমরান হাসমি, রেবতী, সিমরন, ঋদ্ধি ডোগরা, বিশাল জেঠওয়া, কুমুদ মিশ্র এবং ক্যামিও চরিত্রে শাহরুখ খান ও হৃতিক রোশন।
পরিচালনায়- মণীশ শর্মা