অরূপ বসাক, মালবাজার: কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগ। হাইটেক পদ্ধতিতে নেট হাউজের মাধ্যমে আলু (Potato) বীজ উৎপাদন করছেন কৃষকরা। মালবাজার ব্লকের গাজোলডোবা ফার্মাস ক্লাব এবং রাজগঞ্জ ব্লকের মিলন পল্লি সবুজ বিপ্লব ক্লাবের অন্তত ৫০ জন কৃষক প্রায় ১০ একর জমিতে আলু বীজ তৈরি করেছেন। তাও আবার সরকারি উদ্যোগে নেট হাউজ তৈরি করে তার মধ্যে চলছে আলুর বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়া। এভাবে চাষের মধ্যে তাঁরা নয়া দিশা দেখতে পাবেন বলেই আশা কৃষকদের।
সোমবার দুপুরে নেট হাউজে আলুর বীজের গুণগত মান খতিয়ে দেখেন রাজ্যের আলু গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান সায়ন্তন দে এবং জলপাইগুড়ি জেলার সহ-কৃষি অধিকর্তা মেহফুস আহমেদ-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। বিভিন্ন আলু বীজ উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তাঁরা। গুণগত মান খতিয়ে দেখে খুশি আধিকারিকেরা। আধিকারিকদের বক্তব্য, এর আগে পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে আলুর বীজ আনতেন কৃষকেরা। তাতে বীজের দাম বেশি হত। এবং বীজের গুণগত মানও বিশেষ ভাল হত না। এখন সরকারি উদ্যোগে আলুর বীজ উৎপাদনে সুবিধা হয়েছে কৃষকদের। নেট হাউস তৈরি করে আলুর বীজ তৈরি করার ফলে জীবাণু মুক্ত আলু বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: রুক্ষ জমিতে গোলাপ চাষ, বাঁকুড়ার বেলুটে উপার্জনের নয়া দিশা দেখছেন স্থানীয় মহিলারা]
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক (Farmer) শিলাদিত্য দাস, শ্যামাপদ সরকার বলেন, “তিন বছর আগে থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্য আলু গবেষণা কেন্দ্র আমাদের নেট-সহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করেছে। সে কারণে এখন আমরা বাইরে থেকে আলুর বীজ আনছি না। পাশাপাশি আমাদের তৈরি বীজ যথেষ্ট ভাল এবং উন্নত। বর্তমানে এই এলাকায় ১০ একর জমিতে ১৭ প্রজাতির আলুর বীজ তৈরি হচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছে
হিমালিনি, চন্দ্রমুখী, সূর্য, চিপসোনা, গোরিমা, লিমা, লোলিত, লালিমা, পোখরাজ, জ্যোতি, ৭০০৮, ৭০১৫। তাতে আমাদের লাভই হচ্ছে।”