shono
Advertisement

Breaking News

‘বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা সামলাতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাই’, কোবিন্দের দ্বারস্থ বিশিষ্টজনেরা

সিট গঠনের আরজি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়ল সুপ্রিম কোর্টে।
Posted: 10:01 PM May 24, 2021Updated: 10:02 PM May 24, 2021

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post-poll violence in West Bengal) নিয়ে পদক্ষেপ নিতে এবার বিশিষ্টজনদের দরবার রাষ্ট্রপতি ভবনে। একই বিষয়ে সিট গঠনের আরজি জানিয়ে দেশের ১২ জন আইনজীবী পিটিশন জমা দিলেন সুপ্রিম কোর্টে। দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কাছে দেখা করেন প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় ও মহারাষ্ট্রের অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি প্রবীন দীক্ষিত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ-প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার আরজি জানান তাঁরা।

Advertisement

এদিন দেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্তা, প্রাক্তন বিচারপতি ও বিচারক, পুলিশকর্তা-সহ মোট ১৪৬ জনের স্বাক্ষরিত এঅটি স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সূত্রের খবর, এঁরা প্রত্যেকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দেওয়া স্মারকলিপিতে বাংলায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস ঠেকাতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাওয়়া হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্ত পরিবারদের সাহায্যার্থে বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণারও আরজি জানানো হয়েছে। এদিকে একইদিনে বাংলায় নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসে জড়িতদের শনাক্ত করতে সিট গঠনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আরজি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রদেশের ১২ জন আইনজীবী।

[আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা কি আদৌ আক্রান্ত হবে? উত্তর দিল কেন্দ্র]

উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠছিল। কিন্তু শপথগ্রহণের পরই পরিস্থিতি দক্ষ হাতে সামাল দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিংসা বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করে প্রশাসন। এমনকী, দলমত নির্বিশেষে হিংসায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় রাজ্য সরকার। সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের এই ভূমিকার প্রশংসা করে কলকাতা হাই কোর্টও।

তবে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠায় কেন্দ্র। এমনকী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছেও রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এবার এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে দরবার করলেন বিশিষ্টজনেরা। সংঘপরিবার ঘনিষ্ঠ বিশিষ্টজনেদের এই ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

[আরও পড়ুন: করোনায় মৃতদের ডেথ সার্টিফিকেটেও মোদির ছবি থাকা উচিত, খোঁচা জোটসঙ্গীরই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement