সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসসিও সামিটে যোগ দিতে পাকিস্তান যাচ্ছেন এস জয়শংকর। তাঁকে এবার নিজেদের বিশেষ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জয়শংকরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইমরানের দল প্রমাণ করতে চায়, গণতন্ত্র রয়েছে পাকিস্তানেও। প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের সকলের।
চলতি মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হবে এসসিও সম্মেলন। তার আগেই পিটিআই নেতা তথা খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ আলি সইফ এক সংবাদমাধ্যমে বলেন, "জয়শংকরকে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানাবে পিটিআই। তিনি এসে দেখবেন যে পাকিস্তানেও গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে সকলেরই।" যদিও ইমরানের দলের তরফে এমন বার্তা মোটেই ভালো চোখে দেখেনি পাক সরকার। সেদেশের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লা তারার সাফ বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রুতা করতেই এমন পরিকল্পনা করছে পিটিআই।
উল্লেখ্য, ভারত এবং পাকিস্তান ছাড়াও চিন, রাশিয়া, তাজাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশ এই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য। এসসিও দেশগুলো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করে থাকে। এই বছর ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে এই সম্মেলন হবে। প্রথামাফিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদেরই আমন্ত্রণ জানান। গত আগস্ট মাসে আমন্ত্রণপত্র আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও। কিন্তু দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে প্রশ্ন ওঠে, মোদি কি এই সম্মেলনে যোগ দিতে পাকিস্তান যাবেন? নমো যে যাবেন না তা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল বিশ্লেষকদের কাছে।
পরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এসসিও সামিট অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।” বলে রাখা ভালো, বিদেশমন্ত্রী হিসাবে এটাই তাঁর প্রথম পাকিস্তান সফর। এর আগে রাষ্ট্রসংঘ থেকে শুরু করে নানা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ইসলামাবাদকে তুলোধনা করেছেন তিনি। এই সফরের মধ্যে দিয়ে কি এবার ইসলামাবাদ-দিল্লি সম্পর্কের বরফ গলবে?