সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধোঁয়াশা ও দূষণে দমবন্ধ পরিস্থিতি দিল্লির। দীপাবলির পর থেকে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। ‘ক্লাউড সিডিং’ করেও লাভ হয়নি। নানা বিধিনিষেধেও দূষণের মাত্রা উদ্বেগ বাড়িয়েই রেখেছে। বুধবার সকালেও শহরের মুখ ঢেকেছে ঘন কুয়াশায়। অন্যদিকে দূষণের মাত্রা সামান্য কমে তা পৌঁছল 'মারাত্মক' অবস্থায়।
বুধবার সকালে দৃশ্যমানতা পৌঁছে যায় প্রায় শূন্যে! ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয় জনজীবন।
ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাতিল হয়েছে ১৪৮টি উড়ান। দু'টি উড়ানের অভিমুখ বদলে দেওয়া হয়েছে। বহু ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের থেকে অনেক দেরিতে চলছে। সড়কপথেও থমকে চলছে গাড়ি। কুয়াশার মধ্যে নিরাপদে চলতে সাতসকালেও জ্বলছে সমস্ত গাড়ির হেডলাইট। এদিকে এদিন দিল্লির গড় একিউআই ৩৮৮। যা সোমবারের থেকে (৪০১) কিছুটা কম। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই অবস্থা থাকলেও ২ তারিখে ফের 'অতি মারাত্মক'-এ পৌঁছে যেতে পারে তা। পরবর্তী ৬ দিন পরিস্থিতি তেমনই থাকবে। সব মিলিয়ে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে ঘিরে আশঙ্কা এখনই কমার কোনও লক্ষণ নেই।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস (Delhi Pollution)। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ও বিজেপি নেত্রী কিরণ বেদি কয়েকদিন আগেই দাবি করেন, রাজধানীর বর্তমান পরিস্থিতি কোভিডের সঙ্গে তুলনীয়! এহেন পরিস্থিতিতে দূষণ যে শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না।
