সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ১৩ বছরের নাবালিকা। গর্ভাবস্থার ২৬ তম সপ্তাহে কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি দিল ওড়িশা হাই কোর্ট। নির্যাতিতা শারীরিক অসুস্থতা ও মৃগীরোগে ভুগছিল। তাই বিচারপতি সমস্ত দিক বিবেচনা করে এই রায় দিয়েছেন মত ওয়াকিবহল মহলের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে এক যুবক লাগাতার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের আগস্ট মাস নাগাদ। তবে বিষয়টি সামনে আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে পরিবার। তখনই মেয়ে গর্ভবতী সে কথা জানতে পারে পরিবার। ততদিনে নাবালিকা ২৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপরই ১১ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। তারপরই ওড়িশা হাই কোর্টে মেয়ের গর্ভপাতের আবেদন জানান তার বাবা।
তবে ২০২১ সালের দেশের নতুন আইন অনুয়াযী, গর্ভাবস্থা ২৪ সপ্তাহ পার করে গেলে গর্ভপাত করানো যায় না। সেক্ষেত্রে হাই কোর্টের অনুমতি লাগে। উচ্চ আদালতে আবেদনের পর সোমবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি এসকে পানিগ্রাহির এসলাজে। সেখানে এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একটি মেডিক্যাল দল আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে জানানো হয়, কিশোরী সন্তানের জন্ম দিলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। সব কিছু খতিয়ে দেখে গর্ভপাতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি এস কে পানিগ্রাহী বলেন, "সব দিক দেখার পর আবেদনকারীর আর্জি বাতিল করার কোনও কারণ আদালত খুঁজে পায়নি। কিশোরীর গর্ভপাত নৈতিকভাবেও অপরিহার্য।"
আদালত আরও জানায়, বিচারে দেরি হলে অনেক ক্ষেত্রেই নির্যাতিতাদের দুর্ভোগ বাড়ে। তাই ভবিষ্যতে এই ধরনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালত ওড়িশা সরকারকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
