সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন রাজ্যে চলছে এসআইআর। এরপরেই, নির্বাচন বেশ কিছু রাজ্যে। এই আবহেই, অবশেষে কংগ্রেসের অন্দরে কাটছে জট? শনিবার, ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিয়েছেন শশী থারুর। ছিলেন সিদ্দারামাইয়াও।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে। নয়াদিল্লিতে এআইসিসি-র সদর দপ্তরে এই বৈঠকে যোগ দেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সংসদীয় সলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। জানা গিয়েছে এই বৈঠকে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও।
শনিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কর্নাটকে কুর্সি নিয়ে শিবকুমারের সঙ্গে লড়াই নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বৈঠকে। অন্যদিকে, গত কয়েক মাস ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেছেন শশী থারুর। মনে করা হচ্ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন কিনা সেই প্রশ্নও উঠছিল। তবে শশী বা কংগ্রেস নেতৃত্ব কেউই মুখ খোলেননি এই বিষয়ে।
গতমাসেও বার দুই রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে গরহাজির ছিলেন শশী। একবার বিমানে থাকার অজুহাতে, একবার অসুস্থতার অজুহাতে। দলের বৈঠকে গরহাজির থেকে তিনি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুনতে। সেবার মোদির ভাষণের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। এরপরেও দলের হাই কম্যান্ডের নির্দেশ অমান্য করেন তিনি। ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় থাকায় দিল্লির বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতিতে জল্পনা বাড়ে তাঁর দল ছাড়ার প্রসঙ্গে।
শনিবারের বৈঠকে থারুরের উপস্থিতি সব জল্পনায় জল ঢেলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও, অন্তরদ্বন্দ্ব নিয়ে সমস্যা না হলেও বৈঠকের বাইরে দেখা যায় কর্মীদের প্রতিবাদ। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, দলিত নেতা জি পরমেশ্বরকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তুলে প্রতিবাদ দেখান তাঁর অনুগামীরা।
