সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাঁসার থালার উপরে সবুজ কলাপাতা। তাতেই সাজানো ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাত। পাশে সোনামুগ ডাল, ঝুরো আলু ভাজা, সোনালি মাছের ঝোল আর কচুপাতা চিংড়ি। সঙ্গে একটু স্যালাড, চাটনি আর পাঁপড়। যেন খাদ্যমেলা বসেছে। যা দেখে জিভের জল সামলে রাখা কঠিন। এত সুন্দর সাজানো বাঙালি খাবার এখন পাওয়া যাচ্ছে পার্কস্ট্রিট চত্বরের মারকুইস স্ট্রিট ক্রসিংয়ের ‘আমি বাঙালি’ (Aami Bangali) রেস্তরাঁয়। রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের কাছেই। যাকে আবার অনেকে বাংলাদেশি পাড়াও বলে থাকেন।
‘আমি বাঙালি’ মানেই ভিন্ন ভিন্ন বাঙালি পদের সমাহার। শুধু বলার অপেক্ষা। পাতে চলে আসবে কচুপাতা চিংড়ি, চিকেন ডাকবাংলো, লেবু লঙ্কা মুরগি, চিতল মাছের মুইঠা, শুঁটকি মাছের ভরতা কিংবা কচি পাঁঠার মাংস। পার্কস্ট্রিট চত্বরের মারকুইস স্ট্রিট ক্রসিংয়ে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষজন থাকেন। সেখানে বাঙালি রেস্তরাঁও রয়েছে। তবে ‘আমি বাঙালি’র এই জিভে জল আনা পদগুলির দাম সেখানকার থেকে অনেকটাই কম। আর বসার জায়গা বেশ বড়। আর স্বাদ? তা ভোজনরসিক বাঙালিদের অনেকেই ইতিমধ্যেই উপভোগ করেছেন।
[আরও পড়ুন: এত বড়, সত্যি! বিশ্বের বৃহত্তম পিৎজা বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তুলল পিৎজা হাট]
করোনাকালে বেশ সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল জনপ্রিয় এই বাঙালি রেস্তরাঁকে। সবক’টি শাখা বন্ধ রাখতে হয়েছিল রেস্তরাঁর কর্ণধার অর্ঘ্য সাহাকে। কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলার এই জনপ্রিয় খাবারের ঠিকানা। আর তা নতুনভাবে পার্কস্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় আত্মপ্রকাশ করেছে। আর সেখানে মেছো বাঙালির জন্য রোজই ১৫ থেকে ১৬ রকমের মাছের পদ তৈরি থাকছে।
মারকুইস স্ট্রিট ক্রসিং ছাড়াও ‘আমি বাঙালি’ রয়েছে বাঘাযতীন, সল্টলেক, ডালহৌসি, পুরুলিয়া, আসানসোল, বোকারো, রাঁচি, অসমের জোরহাট ও দিল্লির সিআর পার্কে। অর্থাৎ রাজ্যের বাইরেও বাঙালিকে বাংলার স্বাদ পৌঁছে দিচ্ছে রেস্তরাঁটি। আগামীতে গুয়াহাটি, পুরী, ধানবাদ, বাঁকুড়া ও রৌরকেল্লায় খুলবে নতুন শাখা।
এছাড়াও বাইরে ক্যাটারিং পরিষেবা দেওয়া হয়। আর তার জন্য যোগাযোগ করতে হবে অর্ঘ্য সাহার ৯৮৩০০৬৪২২৬ নম্বরে। এখানে ফোন করলেই যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর ‘আমি বাঙালি’তে পাবেন বাংলা এবং বাংলাদেশি রান্নার সুস্বাদু পদ।