সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। পড়ুয়া হোক বা অভিভাবক, সকলেই চায় প্রথম পরীক্ষার ফল ভালো হোক। অনেকেই আবার উপদেশ দেন মাধ্যমিকে ভালো ফল করলে জীবনের বাকি পথ অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। এ তো গেল ভালো দিকের কথা। কিন্তু কেউ কেউ তো অকৃতকার্য হয়। এতে ভেঙে পড়ে তারা। একদিকে খারাপ ফল, অন্যদিকে পরিবারের চাপ। দুইয়ের জাঁতাকলে পড়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি আত্মহত্যার পথও বেছে নেয় অনেকে। তাঁদের সন্তান যাতে তেমনটা না করে তার ব্যবস্থা করলেন কর্ণাটকে বাসিন্দা মা-বাবা।
রীতিমতো অভিনব কাণ্ড করলেন তাঁরা। ছেলে মাধ্যমিকে ‘ফেল’ করার পর পরিবারের সকলে মিলে তা উদযাপন করলেন। ফেল করা ছেলেকে দিয়ে কেক কাটালেন। পরিবারের সদস্যরাও বলেন, ‘হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো কিছুই হয়নি।’
কর্ণাটকের বাগলকোটের বাসবেশ্বরের একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র অভিষেক ছোলাছাগুড্ডা। দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৬০০ নম্বরের মধ্যে মাত্র ২০০ নম্বর পেয়েছে সে। ৩২ শতাংশ নম্বর পাওয়ার পাশাপাশি ছ’টি বিষয়েই ফেল করেছে।
অভিষেক জানায়, রেজাল্ট জানতে পেরে বন্ধুরা তাকে নিয়ে উপহাস করেছিল। কিন্তু কঠিন সময়ে বাবা-মা পাশে দাঁড়ায়। অভিষেকের কথায়, “পাশ করতে পারিনি। কিন্তু আমার পরিবার পাশে দাঁড়িয়েছে, উৎসাহিত দিয়েছে। আবার পরীক্ষা দেব, পাশ করব এবং জীবনে সফল হব।”
রেজাল্ট জানার পর অভিষেকের বাবা-মা বকাবকি করেননি। বরং কেক কেটে ছেলের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন। অভিষেক জানায়, কঠিন সময়ে বাবা-মা তাকে বলেছিল, ‘তুমি পরীক্ষায় ফেল করতে পারো, কিন্তু জীবন যুদ্ধে ফেল করোনি। আবার চেষ্টা করো। পরের বার নিশ্চয়ই সফল হবে।’
