দু’চাকা আছে না কি? যদি থাকে, তাহলে বাহনটিকে সুরক্ষিত রাখতে বিমা কি করিয়েছেন? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে এই লেখায় এবার দেখে নিন, প্রয়োজনীয় কী কী বিষয় আপনার বিমায় না থাকলেই নয়। আর যদি উত্তর হয় ‘না’, তাহলে বিমা করানোর আগে জেনে নিন খুঁটিনাটি তথ্য। সংকলনে টিম সঞ্চয়
দু’চাকার যানবাহন, বিশেষত মোটর সাইকেল, যাতে সুষ্ঠুভাবে ইনসিওরেন্স কভারেজের মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন সমস্ত বিমা কোম্পানির কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিভিন্ন ঘোষণা আমরা সঞ্চয়-এর পক্ষ থেকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছি। সেই চেষ্টা থেকেই হাতে পেয়েছি একগুচ্ছ তথ্য, যা দু’চাকার মালিকদের পক্ষে উপযোগী হবে।
# থার্ড পার্টি টু-হুইলার ইনসিওরেন্স কেনা ম্যান্ডেটরি বা বাধ্যতামূলক বলে গণ্য। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। প্রধানত তিন ধরনের বিমা হতে পারে–
(ক) থার্ড পার্টি
(খ) কমপ্রিহেনসিভ
(গ) স্ট্যান্ড অ্যালোন
# নিজের প্রয়োজন এবং বাজেট, এই দুই শর্ত বুঝে গ্রাহককে ইনসিওরেন্স কিনতে হবে।
# বহু ক্ষেত্রে কমপ্রেহেনসিভ ভেহিক্যাল পলিসি কাজে লাগে, বিশেষত যেখানে বাইক বা স্কুটারের বয়স পাঁচ বছরের কম হয়।
# পলিসি এক্সক্লুশন থাকতেই পারে, যা নিয়ে বিশেষভাবে জেনে নিতে হবে গ্রাহককে। কিছু রিস্ক হয়তো কভারেজের আওতায় আসে না। সেক্ষেত্রে ক্লেম হলেও সুরাহা পাবেন না! তাই কেনার আগে সব ধরনের শর্ত জেনে নিতে হবে দু’চাকার মালিকদের।
[আরও পড়ুন: মিড ক্যাপ-এর পঞ্চবাণ, জেনে নিন বিনিয়োগে লক্ষ্মীলাভের ফান্ডা]
কীভাবে প্রিমিয়াম ঠিক করা হয়? এর উত্তরে একাধিক টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসের কথা উল্লেখ করা থাকে। সংক্ষেপে :
(১) ডিকলেয়ার্ড ভ্যালু,
(২) টাইপ অফ পলিসি
(৩) পলিসি টার্ম
(৪) বাইক/স্কুটারের বয়স–অর্থাৎ, কতদিনের পুরনো
নেটওয়ার্কের মধ্যে গ্যারাজগুলির কথা আলাদাভাবে জানাচ্ছেন সংস্থার প্রতিনিধিরা। ক্যাশলেস সার্ভিস পাওয়ার বিষয়ে তাঁরা আলোকপাত করছেন। দু-চাকার মালিক যেন নেটওয়ার্ক গ্যারাজের সংখ্যার দিকে নজর দেন প্রথমেই। কভারেজ ভাল হলে তাঁরই সুবিধা হবে, প্রয়োজনে গাড়ি সারাই করানোর সুযোগও বাড়বে। আরও এক জরুরি বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ইনসিওরেন্স কোম্পানি। সঙ্গের চার্ট দেখুন।
বৈশিষ্ট্য:
সাধারণত কীসের জন্য কভারেজ নেন বাইক মালিকরা?
# চুরি হয়ে যেতে পারে। কমপ্রেহেনসিভ পলিসির আওতায় চুরি কভার করা হয়। ইনসিওরেন্স থাকলে ডিকলেয়ার্ড ভ্যালু কত, তা জানতে হবে এই ক্ষেত্রে।
# ‘টোটাল লস’ হওয়া অসম্ভব নয়। মানে, যদি দু’চাকা যানবাহনের সারানোর খরচ IDV-র ৭৫% বা তার বেশি হয়ে যায়, তাহলে এই শর্ত কার্যকরী হয়। IDV-র অর্থ Insured Declared Value
# ড্যামেজ এবং সেই জনিত লস। নানা কারণে বাইকের ক্ষতি হতে পারে। কমপ্রেহেনসিভ পলিসি এসব সময় কাজে লাগতে পারে। তবে ‘General wear and tear’ কভার করা হয় না।
অনলাইন কিনলে কী পাবেন? গ্রাহক যদি তাঁর টু-হুইলারের জন্য সরাসরি বিমা কেনেন, তাহলে তাৎক্ষণিক পলিসি ইস্যুর সুবিধা পাবেন তিনি। ক্লেমের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ইন্সপেকশন হতে পারবে এবং চিহ্নিত করা গ্যারেজে ক্যাশলেস পরিষেবা পাওয়াও সম্ভব হবে। ইদানীং নানা প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে গ্রাহকদের একাংশ তাড়াতাড়ি বিমা কিনতে পারছেন, এবং এই সংক্রান্ত অভ্যাস বেশ জোরালোভাবে তৈরি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। এই শ্রেণীর প্ল্যাটফর্মের জন্য বিভিন্ন পলিসির তুলনামূলক আলোচনা সহজে করা যায়। এছাড়াও প্রিমিয়ামে ছাড় পাওয়া সম্ভব বলে বিমা সেক্টরের একাংশ জানাচ্ছেন। এমনই এক সংস্থা, পলিসিবাজার, একাধিক প্ল্যানের কথা বলছেন। এই বিষয়ে সঞ্চয়-এর কোনও পক্ষপাত নেই।
শুধু দৃষ্টান্ত হিসাবে সঙ্গের তালিকায় আমরা কয়েকটি নামের উল্লেখ করছি। নামগুলি কোন বিশেষ ক্রমানুসারে নয়।
সূত্র: পলিসিবাজার। কেবলমাত্র কমপ্রেহনসিভ প্ল্যানের প্রসঙ্গে বলা হল। গ্রাহক যেন সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলে বিশদে জেনে নেন।