Advertisement
গ্ল্যামারের অন্তরালে 'ছলনাময়ী' বাংলাদেশি! টলি অভিনেত্রী শান্তা পাল আসলে কে?
টলিউডের নামী পরিচালকের বিরুদ্ধে 'মি টু' অভিযোগও এনেছিলেন এই শান্তা।
শান্তা পাল। বৃহস্পতিবার একটি নামেই তোলপাড় শহর! ২০২০ সালের জুলাই মাসে টলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের বিরুদ্ধে 'মি টু' অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। কাট টু ২০২৫-এর ৩১ জুলাই। ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র বানানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল শান্তাকে।
জানা গিয়েছে, বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেই দালালচক্রের মাধ্যমে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে নেয় বাংলাদেশি যুবতী। কোভিড পর্বের আগে টলিপাড়ায় কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন এই শান্তা। কী হল তারপর?
জানা যায়, শান্তা টলিউডে সেভাবে শিকে ছিড়তে না পেরে দক্ষিণী বিনোদুনিয়ায় ভাগ্য নির্ধারণ করতে যান। তবে কলকাতায় চুটিয়ে মডেলিংও করতেন অভিনেত্রী।
খবর, বাংলাদেশের দুই নামী সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এই শান্তা পাল। বেশ কয়েকটি বিউটি কনটেস্টে অংশও নিয়েছেন। শান্তার সোশাল মিডিয়া প্রোফাইলে ঢুঁ মারলেই তার ঝলক মেলে।
বাংলাদেশের বিমান সংস্থার প্রাক্তন কর্মীও ছিলেন তিনি। মিস এশিয়া গ্লোবাল বাংলাদেশ খেতাব জিতে ছিলেন শান্তা পাল। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকদের হাতে গ্রেপ্তার হন।
জানা যায়, কলকাতা থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতেই নাকি ‘ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল।’ পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের একটি বিমান সংস্থার ‘ক্রু’ ছিল শান্তা। সেই সূত্রে কলকাতা-সহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াতও করত।
কয়েক মাস আগে শান্তা বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসে। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে সে। পুলিশের ধারণা, ওই বিমান সংস্থায় চাকরি ছিল না যুবতীর। বাংলাদেশ থেকে সে বিদেশেও যেতে পারছিল না। তাই নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দিয়ে কলকাতা থেকে পাসপোর্ট তৈরির ছক কষে সে। পার্ক স্ট্রিটের ওই ঠিকানায় দালালচক্রের হাত ধরে রেশন কার্ড তৈরি করে।
এরপরই সে থাকার ব্যবস্থা করে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে। গল্ফগ্রিন থানা এলাকার বিক্রমগড়ের একটি বাড়ির তিনতলার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে শান্তা। সেখানে রেশন কার্ডের কপি জমা দেয়।
দালালচক্রের মাধমে বিক্রমগড়ের ঠিকানায় ভুয়া আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র জোগাড় করে সে। তারই ভিত্তিতে সে কিছুদিন আগেই পাসপোর্টের আবেদন করে। পুলিশ নথি যাচাই করতে শুরু করে। শান্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে জন্ম শংসাপত্র চাওয়া হয়। কিন্তু ওই নথি দেখাতে পারেনি সে। তার পরিবারের লোকেদের সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে চেয়ে পুলিশ সন্তোষজনক উত্তর পায়নি।
সন্দেহের বশে পুলিশ পার্ক স্টিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। শান্তার যাদবপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তার নামে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট, বাংলাদেশের একটি বিমান সংস্থার পরিচয়পত্র, ঢাকার সেকেন্ডারি এডুকেশনের অ্যাডমিট কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, কলকাতার ঠিকানায় রেশন কার্ড উদ্ধার করে। এরপরই অভিনেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 08:42 PM Jul 31, 2025Updated: 08:42 PM Jul 31, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
