Advertisement
ঘড়ি ধরে ভোর ৫টায় উঠে পড়ুন, ফিট থাকবে শরীর, আর কী কী উপকারিতা?
এই ৮টি অভ্যাস রপ্ত করলে পালটে যাবে আপনার জীবন।
আমাদের ঘুমের কোনও নির্দিষ্ট টাইমটেবিল নেই। মনমর্জিমতো আমরা ঘুমোতে যাই। আবার ইচ্ছেমতন ঘুম থেকে জেগে উঠি। উইকেন্ডে তো সকাল ১০-১১টা ছাড়িয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের এই বেনিয়ম কিন্তু আমাদের শরীর ও মন দুটোতেই দারুণ প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনের ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সিডিউল থাকা দরকার। যদি আমরা প্রতিদিন সকাল ৫টায় ঘুম থেকে উঠে পড়তে পারি তাহলেই কেল্লাফতে! তার জন্য অবশ্য আপনাকে মেনে চলতে হবে এই ৮টি অভ্যাস। এতে শরীরের সঙ্গে মনের সুস্বাস্থ্যও বজায় থাকবে। কী এই ৮টি অভ্যাস? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হলে আপনাকে প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে হবে। রাত্রি ৯.৩০ থেকে ১০টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। তবে ঘুমনোর আগে নিজের মোবাইল ফোনটি অবশ্যই পাওয়ার অফ করতে ভুলবেন না যেন!
রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাথাকে চিন্তাশূন্য করুন। বিশেষ করে স্ক্রিন টাইম বন্ধ করুন। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ভিডিও গেম কনসোল, ট্যাবলেট প্রভৃতি ডিসপ্লে স্ক্রিন যুক্ত ডিভাইস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন।
শুধু সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লেই হবে না। দিন শুরুর এই সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। শরীরচর্চার জন্য যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম বা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ বেছে নিন।
যোগব্যায়াম বা প্রাণায়াম না করেও আপনি প্রতিদিন ভোরে স্রেফ আধা ঘন্টা হাঁটতে পারেন। তাতেও মিলবে দারুণ উপকার। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ বা হৃদরোগের মতো ভয়ানক রোগগুলির ঝুঁকি এতে অনেকটাই কমবে। সঙ্গে আপনার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নড়াচরায় শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়বে।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই প্রতিদিন এক গ্লাস জল পান করুন। দিনের শুরুতেই শরীরকে হাইড্রেশন করলে দেহে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে ও মস্তিষ্ক সক্রিয় হয়ে ওঠে।
হালকা ব্যায়ামের পর সামান্য কিছু টিফিন করুন। বিশেষ করে ফাইবার ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। যেমন- ভেজানো কাঁচা বাদাম, ভেজানো মুগের ডাল বা ছোলা প্রভৃতি।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 09:09 PM Jul 28, 2025Updated: 09:09 PM Jul 28, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
