প্রসূন বিশ্বাস: ওড়িশা (Odisha) ম্যাচের আগের দিনই রয় কৃষ্ণর নাম শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তখনই বোঝা গিয়েছিল কৃষ্ণকে নিয়ে খুব একটা বাক্যব্যয় করতে চান না তিনি। তবে সেই বিপক্ষের কৃষ্ণর সঙ্গেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ফলে লাল কার্ড দেখলেন জুয়ান ফেরান্দো। বুধবার যুবভারতীতে মোহনবাগান বনাম ওড়িশা এফসি ম্যাচ শেষে গণ্ডগোলের জেরে।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজেছে তখন। দু’গোলে পিছিয়ে থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে ফেরার আনন্দে ব্যস্ত মোহনবাগান (Mohunbagan)। মাঠের মাঝখানে এগিয়ে গিয়েছে জুয়ান ফেরান্দো সহ গোটা দল। রেফারির সঙ্গে করমর্দন করছিলেন মোহনবাগান কোচ। তাঁর শরীরী ভাষায় বোঝা যাচ্ছিল, অনেক সিদ্ধান্তই তিনি মানতে পারেননি। বাক্য বিনিময় করতে করতেই তিনি হাত মেলান রেফারি ক্রিস্টাল জনের সঙ্গে।
ঠিক এই সময়ই রয় কৃষ্ণর সঙ্গে কথা কাটাকাটি। দেখা যায়, আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা বলছেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার। থেমে থাকেননি ফেরান্দোও, তিনিও পাল্টা আঙুল তোলেন। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে ছুটে যান আর্মান্দো সাদিকু, বিনয় চোপড়ারা। এর মধ্যে ফেরান্দোকে ধাক্কা দিয়ে বসেন কৃষ্ণ। সাদিকু সরিয়ে নিয়ে যান দু’জনকে। বিনয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় কৃষ্ণকে। এসবের মধ্যেই আবার সের্জিও লোবেরাকেও দেখা যায় উত্তপ্তভাবে কিছু বলতে বলতে ফেরান্দোর দিকে এগিয়ে আসতে। তবে সাদিকুরা সামনে থাকায় তা আর বড় আকারে গড়ায়নি। রেফারি ক্রিস্টল জন মোহনবাগান কোচকে লাল কার্ড দেখান। এই ঘটনার ফলে পরের ম্যাচে বেঞ্চে থাকবেন না ফেরান্দো।
[আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে শামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির! বিস্ফোরক গুজরাট টাইটান্স কর্তা]
অবশ্য মোহনবাগানের তরফে দাবি করা হয়, রয় কৃষ্ণর উসকানিতেই মেজাজ হারিয়েছেন ফেরান্দো। এদিন লাল কার্ড দেখার পর সাংবাদিক সন্মেলনে ফেরান্দোর পরিবর্তে এসেছিলেন মোহনবাগানের সহকারি কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা। তিনি অবশ্য কোচের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন, “বিষয়টা খুব বেশি জানি না। কিন্তু আমি কোচকে একশো শতাংশ বিশ্বাস করি। কোচ তেমন কিছুই করেননি। খেলাটা কী পরিস্থিতিতে চলছিল আপনারা জানেন। আমি এই বিষয়ে যত কম বলব ততই ভালো হবে।” ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে শব্দ ব্যয় করতে চাননি ওড়িশা কোচ সের্জিও লোবেরাও। তিনি বলেন, “এটাই ফুটবল। মাঠের ঘটনা মাঠেই শেষ হয়ে যায়। ম্যাচটা দু’টো দলের জন্য খুব কঠিন ছিল। ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে।”
ফেরান্দোর লাল কার্ডের পাশাপাশি মোহনবাগানের সমস্যা আরও বাড়াল চার ফুটবলারের চোট। বুধবার ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন হুগো বুমোস। ম্যাচ চলাকালীন আহত হন সাহাল, অনিরুদ্ধ, গ্লেন মার্টিন্স। ফলে বলে দেওয়াই যায়, মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে সবুজ মেরুন শিবির।