সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাণ্ডটা মনে পড়লে একেবারে ভেঙে পড়েন মিসিশিপির বাসিন্দা আর রবারসন। ঘটনার এক বছর কেটে গেলেও এখনও সেই রাতটার কথা ভুলতেও পারেন না তিনি। একটু সচেতন তো হওয়াই যেত!
ঠিক এক বছর আগেকার ঘটনা। একটা পার্টি থেকে সবে ফিরেছেন রমিলা (নাম অপরিবর্তিত)। টিক টক প্রোফাইলে তাঁর নাম আর রবারসন। নেশায় একেবারে টলমল তিনি ও তাঁর স্বামী। হঠাৎই শুরু করলেন উদ্দাম যৌনতা। কিন্তু অসচেতন হওয়ায় বিছানায় থাকা ফোনে হাত পরতেই শুরু হয়ে গেল ফেসবুক লাইভ! একটুও টের পেলেন না মহিলা। বরং যত রাত বাড়ল যৌনতার পারদ চড়ল চরমে। লাইভ দেখতে শুরু করল ফেসবুকে থাকা বন্ধুরা। মহিলা ও তাঁর স্বামী যখন ঘটনাটি টের পেল, ততক্ষণে ৪৬ জন দেখে ফেলেছেন। এমনকী, এই লাইভ দেখে সতর্ক করার জন্য মহিলার এক বান্ধবী ফোনও করেছিলেন। কিন্তু যৌনতায় মেতে থাকায় সেই ফোন পাত্তাই দেননি মহিলা।
[আরও পড়ুন: বয়সে ছোট ছেলেদের সঙ্গে যৌনতাই ‘ফ্যান্টাসি’, মেয়ের পরিচয় ভাঁড়িয়ে শখ মেটাচ্ছে ৪৮ বছরের মা ]
তবে কাহানিতে রয়েছে টুইস্ট। মহিলা ও তাঁর স্বামী লাইভ সঙ্গমের ৪৬ জন দর্শকের মধ্য়ে ছিলেন মহিলার বাবাও ! আর সেটা জানতে পেরেই রীতিমতো অবসাদে ভুগছেন রমিলা। বাবার কী ভাবছেন, তা ভেবেই গোটা এক সপ্তাহ ধরে শুধুই নাকি কেঁদেছেন তিনি। গোটা এক বছর দেখা করেননি বাবার সঙ্গেও। তবে মহিলার স্বামী কিন্তু ব্য়াপারটিকে সহজেই মেনে নিয়েছেন। স্বামীর কথায়, ‘এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। বেশি চাপ নিয়ে লাভ নেই। তবুও স্বস্তি যে এই লাইভে শুধুই শিৎকার শোনা গিয়েছে। দেখা যায়নি কিছুই!’
এই ঘটনার পরই নাকি ফেসবুকের তরফ থেকে কিছুদিনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই মহিলার প্রোফাইল। টিক টকে এসেই গোটা ঘটনার কথা খোলসা করেন মিসিশিপির এই মহিলা।