সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই মুহূর্তে গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। হামাসের ডেরা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ইজরায়েলের পণবন্দিরা। তবে চাপানউতোর জারি রয়েছে দুপক্ষের মধ্যে। চুক্তি লঙ্ঘন নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছে তারা। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে আমেরিকায় যেতে পারেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই সফরের সমস্ত পরিকল্পনা করছে তাঁর দপ্তর। ওয়াশিংটনে তিনি বৈঠক করবেন নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে, এই সাক্ষাতের পর ফের ইজরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করার ক্ষেত্রে নতুন কোনও চুক্তি করতে পারে আমেরিকা। নাকি যুদ্ধবিরতির মাঝেই নতুন করে গাজায় লড়াই শুরু করতে পারে তেল আভিভ।
![](https://mcmscache.epapr.in/mcms/434/a8a2c017e2b91afd0d2f9fd5d52ed44cbc32e704.jpg)
ইজরায়েল টাইমস সূত্রে খবর, আগামী সোমবার আমেরিকার উদ্দেশে রওনা দেবেন নেতানিয়াহু। সোমবার তিনি পা রাখবেন ওয়াশিংটনে। ফিরে আসবেন বৃহস্পতিবার। কিন্তু এই সফর নির্ভর করছে নেতানিয়াহুর স্বাস্থ্যের উপর। কারণ সদ্যই তিনি প্রস্টেট সার্জারি থেকে সেরে উঠেছেন। যদি এই সফর হয় তাহলে নেতানিয়াহুই হবেন প্রথম রাষ্ট্রনেতা যার সঙ্গে ক্ষমতায় ফেরার পর প্রথমবার সাক্ষাৎ করবেন ট্রাম্প।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে ইজরায়েল। এই লড়াইয়ে প্রথম থেকেই তেল আভিভের পাশে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু গাজার মৃত্যুমিছিল নিয়েও সরব হয় হোয়াইট হাউস। এরপর রাফায় ইজরায়েলি ফৌজের অভিযান নিয়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মন কষাকষি শুরু হয় নেতানিয়াহুর। ইহুদি দেশটিকে অস্ত্রের সরবরাহ স্থগিত করে দেয় মার্কিন প্রশাসন। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাও করতে দেখা গিয়েছে ওয়াশিংটনকে। এখন আমেরিকায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনে জেতার জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। পাশাপাশি দুদেশের মজবুত বন্ধুত্ব ও দৃঢ় সহযোগিতার আহ্বানও জানান তিনি।
ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরেই 'হাতিয়ার' দিয়ে ইজরায়েলকে সাহায্য করেছেন ট্রাম্প। যা নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়ে দুদিন আগেই নেতানিয়াহু এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'কথা রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ মার্কিন। তিনি ইজরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য হাতিয়ার দিয়েছেন। শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য আমরা আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।' ফলে বিশ্লেষকদের ধারণা, ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির মাঝে কিংবা শেষ হয়ে গেলে ইজরায়েলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহু আলোচনা করতে পারেন।