সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ইজরায়েল ও ইসলামিক জেহাদের লড়াই। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এপর্যন্ত গাজা ভূখণ্ডে বেশ কয়েকটি শিশু-সহ কমপক্ষে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। নিহতদের মধ্যে ২৪ জন সন্ত্রাসবাদী রয়েছে বলে দাবি করেছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে, ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ১ হাজারেরও বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে গাজার ‘ইসলামিক জেহাদ’ জঙ্গিগোষ্ঠী বলেও জানিয়েছে তারা।
গত শুক্রবার গাজা ভূখণ্ডে প্যালিস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদের ঘাঁটিতে একের পর এক বোমা ফেলে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর ফাইটার জেটগুলি। ওই হামলায় সংগঠনটির এক শীর্ষ কমান্ডার-সহ মৃত্যু হয় দশজনের। বলে রাখা ভাল, চলতি সপ্তাহেই গাজায় গ্রেপ্তার হয়েছে এক জঙ্গি নেতা। তারপর থেকেই আটঘাট বাঁধছিল ইজরায়েল (Israel)। কয়েকদিন আগেই গাজার যাওয়ার দু’টি ক্রসিং বন্ধ করে দেয় তারা। গাজা সীমান্ত লাগোয়া নাগরিকদের যাতায়াত করা নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইজরায়েলি সরকার। শুক্রবারের হামলার পর ইসলামিক জেহাদ জানায়, ইজরায়েলের হামলায় তাদের কমান্ডার তায়সির আল জাবারি নিহত হয়েছে। সংগঠনটির সশস্ত্র বাহিনী ‘কাডস ব্রিগেড’-এর নেতৃত্বে ছিল জাবারি।
[আরও পড়ুন: ছিলেন নেতাজির একান্ত অনুগামী, প্রয়াত আজাদ হিন্দ ফৌজের মেজর ঈশ্বরলাল সিং]
ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জাবারির মৃত্যুর পর ইজরায়েলে ১ হাজারেরও বেশি রকেট ছুঁড়েছে ‘ইসলামিক জেহাদ’। তারমধ্যে ২০০টি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাজা ভূখণ্ডেই আছড়ে পড়ে। ফলে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন সাধারণ মানুষ। সংঘর্ষে আরও ১১ নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। পালটা, গাজা ভূখণ্ডে ইসলামিক জেহাদের ১৭০টি ঘাঁটিতে বিমান হানা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস’।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সংঘর্ষে ২৫৬ জন প্যালেস্তানীয়র মৃত্যু হয়।