সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলি বিমান হানায় গাজা শহরের এক বহুতল বিল্ডিং গুঁড়িয়ে গেল। এই বিল্ডিংয়ে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এবং আল জাজিরার মতো আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস ছিল। শনিবার এই হামলা চালানো হয়। এই বিল্ডিংয়ে বিমান হানা কেন চালানো হল, তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি ইজরায়েলি সেনার তরফে। এই হামলার ফলে আপাতাত ওই এলাকা থেকে হামাস এবং ইজরায়েলি সেনার লড়াইয়ের কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছে না।
বিমান হানার ১ ঘণ্টা আগে ইজরায়েলি সেনার তরফে ঘোষণা করা হয় ওই বিল্ডিং এবং সংলগ্ন এলাকা খালি করে দিতে হবে। এই এলাকা বেশ ঘনবসতিপূর্ণ ছিল। ঘোষণা হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেই বিমান হানায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ১২ তলা বিল্ডিংটি। ওই বিল্ডিংয়ে সংবাদ সংস্থা, সংবাদমাধ্যমের অফিসের পাশাপাশি কিছু মানুষ বসবাসও করতেন। বিমান হানার পর ওই এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। ধুলোয় মিশে যায় বিল্ডিংটি।
এই বিমান হানার ঘণ্টাখানেক আগে গাজা সিটির একটি উদ্বাস্তু শিবিরে ইজরায়েলি বোমা পড়ে। সেখানে শিশু-সহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ পায়। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, জেরুজালেম এবং সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ইজরায়েলের সেই সব শহরে জাতিদাঙ্গা শুরু হয়ে গিয়েছে। একাধিক ধর্মাবলম্বী মানুষের বাস ওই সব অঞ্চলে। এর আগে শুক্রবার ইজরায়েলের দখল করা ওয়েস্ট ব্যাংক এলাকায় প্যালেস্তাইনিদের বিক্ষোভে গুলি চালানো হয়। সেখানে ইজরায়েলি সেনার গুলিতে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: হকার থেকে যৌনকর্মী, কারা আগে পাবেন ভ্যাকসিন? তালিকা প্রকাশ করল রাজ্য]
সোমবার রাত থেকে নতুন করে শুরু হওয়া হামাস এবং ইজরায়েলি সেনার এই লড়াইয়ে গাজায় অন্তত ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৩৯ জন শিশু এবং ২২ জন মহিলা রয়েছেন। ইজরায়েলে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।