সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। তাতেই পড়ল সিলমোহর। প্রধানমন্ত্রী হয়েও রেহাই পেলেন না ঋষি সুনাক। সিটবেল্ট ছাড়া গাড়ি চড়ায় জরিমানার মুখে পড়লেন তিনি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হইচই। যেখানে দেখা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গাড়ি চড়ে লন্ডন (London) থেকে ল্যাঙ্কশায়ার যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সঙ্গে থাকা প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে নিজের সরকারের নীতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন তিনি। ব্লেজার-টাই পরিহিত প্রধানমন্ত্রী গাড়ি চড়ছেন সিটবেল্ট ছাড়াই। ইংল্যান্ডে (UK) যা অপরাধ বলে গণ্য হয়। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এবার নিজের সেই নিয়ম ভেঙে জরিমানা গুনতে হচ্ছে খোদ শাসককেই! জানা গিয়েছে, ১০০ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় যা আনুমানিক ১০ হাজার টাকা।
[আরও পড়ুন: স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক, ত্রিপুরায় নির্বাচনে ‘একলা চলা’র পথেই তৃণমূল]
কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওতে ঋষি সুনাককে সিটবেল্ট ছাড়া (Seatbeltless) দেখার পরই শুরু হয় সমালোচনা। নড়েচড়ে বসে পুলিশও। ক্ষমা চেয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও। কিন্তু তাতেই মেলেনি রেহাই। ব্রিটিশভূমে যে নিয়ম সকলের জন্য সমান, সেটাই এই ঘটনায় প্রমাণিত। ল্যাঙ্কশায়ার পুলিশ জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে ৪২ বছরের ব্যক্তিকে সিটবেল্ট না পরেই চলন্ত গাড়িতে দেখা গিয়েছে। সেই কারণে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে।
সুনাক সিটবেল্ট না পরায় সমালোচনা ধেয়ে এসেছিল তাঁর দিকে। বিরোধী লেবার পার্টির অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেন, “ঋষি সুনাকের (Rishi Sunak) যে প্রাইভেট জেটে যাতায়াত করাই অভ্যাস, তা বোঝা যাচ্ছে।” তার জবাবে আবার ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র পালটা দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশ ঘুরে বেড়ান। তাঁকে তো কম সময়ের মধ্যে সেসব জায়গায় পৌঁছতে হয়। নানা ধরনের পরিবহণে যাতায়াত করতে হয়।” মুখপাত্র এও জানান, প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে তাঁর ভুল হয়েছে এবং ক্ষমাও চেয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, “চলন্ত গাড়িতে কিছুক্ষণের জন্যই তিনি সিটবেল্ট খুলেছিলেন। আপনারা যে ভিডিও দেখছেন, তা ওইটুকু সময়েরই।” এবার সেই ঘটনার শাস্তিও পেলেন সুনাক।