সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিব্বতি তরুণদের লালফৌজে শামিল করছে চিন (China)। প্রতি পরিবার থেকে এক সদস্যকে বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করল বেজিং। তাঁদের ভারত-চিন সীমান্তে (LAC) মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জিনপিংয়ের ‘আচমকা’ তিব্বত সফরের পর চিনের এহেন সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ভারত-চিন সীমান্ত বিশেষ করে লাদাখ, অরুণাচলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করছে চিন। এই সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে তিব্বতি (Tibetan) যুবকদের। সূত্রের খবর, তিব্বতি যুবকরা বিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ দিলে তবেই ঢুকতে পারবেন সেনাবাহিনীতে (PLA)। জওয়ানদের সারাজীবনের মতো ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। তাঁদের অন্য কোথাও সরানো হবে না বলেই জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরিচয় জেনেই সাংবাদিক দানিশকে খুন করে তালিবান, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে মাস কয়েক আগেই ভারতীয় সেনার সন্ত্রাসদমন শাখার ১৫ হাজার জওয়ানকে পূর্ব লাদাখে মোতায়েন করা হয়েছে। চিনের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতেই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। এর পর চিনের তরফেও সক্রিয়তা শুরু হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, লাদাখে সংঘর্ষের আবহে চিনের বিরুদ্ধে তিব্বতি শরণার্থীদের নিয়ে গঠিত কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন করে ভারত। পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় মোকাবিলার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ‘স্পেশ্যাল ফ্রন্টিয়ার ফোর্স’-এর সদস্যরা। এরা প্রত্যেকেই তিব্বতি। যাঁরা কি না চিনের হাত থেকে বাঁচতে দলাই লামার পথ অনুসরণ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ১৯৬২ সালে চিন-ভারত যুদ্ধের পর তৈরি করা হয়েছিল এই এসএফএফ। প্যাংগং লেকের ধারে চিনের সঙ্গে সংঘাতে শহিদ হন এক তিব্বতি জওয়ানও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেই পদক্ষেপ থেকেই শিক্ষা নিয়েছে চিন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন NSA, আমেরিকার আফগান নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত]
তাই পাহাড়ি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে এবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর তিব্বতি তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র অভিযানের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিককের মন্তব্য তুলে ধরেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। তাতে তিনি বলেন, “গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার বিশেষ অভিযান চালাতে তিব্বতি তরুণদের নিয়োগ করছে চিনাবাহিনী। নিয়মিত তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।”