সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোল গোল করে কাটা সবুজ শসা (Cucumber)। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একইভাবে কাটা টমেটো (Tomato)। তার মধ্যে একটু নুন-লেবু আর গোলমরিচ ছড়িয়ে দিলেই কেল্লাফতে। শীতের মরশুমে তৈরি জিভে জল আনা স্যালাড। লাল-সবুজের এই যুগলবন্দি মুখের ভিতরের স্বাদকোরকগুলিকে উত্তেজিত করে বটে, কিন্তু এতে আপনার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সেই খোঁজ রাখেন? না রাখলে রাখতে শুরু করুন। কারণ করোনার (CoronaVirus) আবহে স্বাস্থ্যই আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ। এর সঙ্গে সামান্য আপস ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ।
টমেটো আর শসা আলাদা আলাদা ভাবে শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। লাল টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি ত্বকের পোড়াভাব কাটাতেও সাহায্য করে। আবার শসা বাড়ায় হজমশক্তি। হালকা এই ফল অল্প সময়েই পেট ভরিয়ে ফেলে। কিন্তু একসঙ্গে এই সবজি ও ফল খেলে ভীষণভাবে বদহজমের সমস্যা হয়। এর কারণ দুই ভিন্ন খাবারের বিপরীত ধর্ম। শসা তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, কিন্তু টমেটোর পাকস্থলীর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পাক হতে সময় লাগে। দুইয়ের ভিন্নতার কারণেই হজমের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাসের প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।
[আরও পড়ুন: আমিষে-নিরামিষে মিলেমিশে রঙিন সাজে শ্বেতশুভ্র পনির, স্বাদ পালটে নিন এসব সহজ রেসিপিতে]
শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা টমেটোর ভিটামিন সি’র সঙ্গে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এসে পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে দইয়ের সঙ্গে টমেটো, শসা, পিঁয়াজ মিশিয়ে রায়তা করে খেতে ভালবাসেন। কিন্তু তাও পেটের মারাত্মক ক্ষতি করে।
তাহলে কী এই ফল আর সবজি খাবেন না? নিশ্চয়ই খাবেন! তবে খাবার সঠিক পদ্ধতি জেনে খাবেন। খাবার খাওয়া মানে শুধু পেট ভরানো নয়। সেই খাবার যেন আপনার শরীরের প্রত্যেকটি কোষের উপকারে লাগে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবার আগে বা পরে স্যালাড খাবেন না। তা খাবার সঙ্গে খাবেন। হয় শসার গ্রিন স্যালাড খান পিঁয়াজ মিশিয়ে, নইলে পিঁয়াজের সঙ্গে টমেটো মিশিয়ে অন্যভাবে স্যালাড তৈরি করে খান।