সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। মাত্রাছাড়া ক্ষয়ক্ষতি হলেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয় কোন পক্ষই। এদিকে, পড়শি দেশে ‘ব্লিৎসক্রেগ’ ব্যর্থ হওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে এবার খাস রুশ জমিতে বহুতলে আছড়ে পড়ল একটি ড্রোন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি কিয়েভের নিশানায় রুশ নাগরিক পরিকাঠামো?
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আক্রান্ত হয়েছে রাশিয়ার দক্ষিণে অবস্থিত ভোরোনেঝ শহর। শুক্রবার শহরটির একটি বহুতলে আছড়ে পড়ে একটি ড্রোন। ভোরোনেঝের গভর্নর আলেকজান্দার গুসেভ টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, বেলেনস্কি স্ট্রিটের একটি আবাসনে ড্রোন আছড়ে পড়েছে। আহত হয়েছেন দু’জন। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি, দমকল ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। স্বাভাবিকভাবেই আঙুল উঠছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দিকে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ভোরোনেঝের দুরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার। তবুও সেখানে পৌঁছে গিয়েছে যুদ্ধের আঁচ। বিগত দিনে রাজধানী মস্কো-সহ একাধিক রুশ শহরে ড্রোন হামলা হয়েছে। বারবারই কিয়েভের দিকে আঙুল তুলেছে ক্রেমলিন। পালটা, গোটাটাই নাটক বলে তোপ দেগেছে ইউক্রেন। তবে বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, এবার রুশ নাগরিক পরিকাঠামোয় নিশানা সাধছে জেলেনস্কি বাহিনী। ‘কাউন্টার অফেন্সিভ’ হিসেবে রুশ জনগণের মনোবলে ধাক্কা দিতেই এই পন্থা নিয়েছে তারা।
[আরও পড়ুন: সমুদ্রের রাজা কে? মোদিতেই চিন বধের অস্ত্র খুঁজছে আমেরিকা!]
সম্প্রতি, ইউক্রেনের একটি বাঁধ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে। যদিও মস্কো অভিযোগের আঙুল তুলছে কিয়েভের দিকে। রাশিয়ার দখলে থাকা দক্ষিণ ইউক্রেনের নোভা কাখোভকা শহরের এই বাঁধটি সোভিয়েত আমলের। ১৯৫৬ সালে তৈরি। ৩০ মিটার উঁচু, ৩.২ কিমি লম্বা ও ১৮ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা বাঁধটি ভেঙে পড়াতে আশঙ্কা তীব্র হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বন্যায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের বহু অংশই জলমগ্ন।