shono
Advertisement

‘যুদ্ধবাজ, বর্ণবিদ্বেষী বাইডেনের দল’, তোপ দেগে দল ছাড়লেন প্রথম হিন্দু মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তুলসী

২০২০ সালে বাইডেনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে শামিল হয়েছিলেন তুলসী।
Posted: 01:52 PM Oct 12, 2022Updated: 01:53 PM Oct 12, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও বাইডেন সরকারকে তুলোধোনা করলেন তুলসী গাবার্ড। দল এখন যুদ্ধবাজ ও বর্ণবিদ্বেষীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছেন বলে তোপ দেগেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যপদ ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রথম হিন্দু মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

Advertisement

প্রথম হিন্দু আমেরিকান হিসেবে ২০২০ সালে জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে শামিল হয়েছিলেন তুলসী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যান তিনি। এবার সেই তুলসীই অভিযোগ এনেছেন দলীয় সহকর্মী ও বর্তমান মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, বর্তমান সরকার প্রতিটি ইস্যুতে বর্ণ বিচার করে কাজ করে। শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভকে ইন্ধন জোগায়। এমনকি, বাইডেন সরকারকে ধনী এবং অভিজাতদের সমাজ দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধবাজ সরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তুলসী।

[আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেই মেরে ফেলা হবে, ভারতে জেল খাটার আতঙ্কে ভুগছেন নীরব মোদি]

২০২১ সালে ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এর সদস্য পদ ছাড়েন তুলসী। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। সদ্য টুইটারে একটি ৩০ মিনিটের ভিডিও পোস্ট করেন তুলসী। সেখানে দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে দল ছাড়ার কারণ বাখ্যা করেন মার্কিন কংগ্রেসের প্রাক্তন সদস্য। তাতে তাঁর অভিযোগ, “এই ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তাঁর অচেনা। এখন দল যুদ্ধবাজ, কাপুরুষ এবং ক্ষমতাবানদের কুক্ষিগত। যাঁরা প্রতি মুহূর্তে আমেরিকার নাগরিকদের মধ্যে বর্ণ নিয়ে বিভাজন তৈরি করে চলেছে। আমেরিকার সাধারণ নাগরিকের স্বাধীনতাকে নষ্ট করে চলেছে। তাঁরা আমেরিকার নাগরিকদের ঈশ্বরবিশ্বাস বা ধর্মবোধের পরোয়া করে না। পুলিশকে অকারণে ভয় দেখানোর অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে এবং একই সঙ্গে অপরাধীদের পরোক্ষে মদত দেয়।”

উল্লেখ্য, ২০২০-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম হিন্দু প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তুলসী গাবার্ড৷ কিন্তু তার আগে ধর্মের কারণে নিজের দেশেই ঘৃণার শিকার হয়েছিলেন তিনি। তুলসী অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁকে তো বটেই, ধর্মের দোহাই দিয়ে সমর্থকদেরও আক্রমণ করা হয়। তাঁর এবং সমর্থকদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তূলে আমেরিকার একটি মহল ও বেশ কিছু সংবাদপত্র৷ তাঁকে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী’ বলে কটাক্ষ করে তাঁরা। হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ছবি৷

[আরও পড়ুন: তাঁর হাত ধরেই শুরু হিজাব বিরোধী আন্দোলন, অভিযোগ ছাড়াই জেলবন্দি ইরানের মহিলা সাংবাদিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement