সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে ভয়াবহ সংঘাতে জড়াল ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) ও তালিবান (Taliban)। মসজিদে হামলার পালটা দিয়ে এবার কাবুলে আইএস-এর একটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ।
[আরও পড়ুন: ‘তালিবান রোজ টুইট করে, কিন্তু আমার উপরই নিষেধাজ্ঞা’, এবার টুইটারের বিরুদ্ধে আদালতে ট্রাম্প]
নিজের টুইটারে হ্যান্ডেলে তালিবান মুখপাত্র মুজাহিদ জানিয়েছে, “কাবুলে আমাদের সফল অভিযানের ফলে ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। সেখানে থাকা সমস্ত আইএস সদস্যকে খতম করা হয়েছে।” আবদুল রহমান নামের এক সরকারি কর্মীকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে কাবুলে অন্তত তিনটি বাড়িতে অভিযান চালায় তালিবানের স্পেশ্যাল ফোর্সেস-এর একটি বিশাল বাহিনী। ওই ব্যক্তির কথায়, “বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে লড়াই চলে। সারারাত গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ওরা (তালিবান) বলছিল এলাকায় দায়েশ (ইসলামিক স্টেট) যোদ্ধারা রয়েছে। কতজন মারা গিয়েছে বা গ্রেপ্তার হয়েছে তা জানি না। কিন্তু ভয়াবহ লড়াই হয়ছে।”
রবিবার কাবুলের ঈদগাহ মসজিদে তালিবান নেতার অন্ত্যেষ্টির সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জাবিউল্লা মুজাহিদ টুইট করে জানিয়েছে, কাবুলের ইদগাহ মসজিদের পাশে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের সাধারণ মানুষের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অন্তত ৩২ জন। সূত্রের খবর, ওই মসজিদে তালিবান নেতা জাবিউল্লা মুজাহিদের মায়ের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া চলছিল। সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। ওই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেট রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তুঙ্গে পৌঁছেছে ইসলামিক স্টেট (ISIS) বনাম তালিবান লড়াই। কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করে তালিবান। গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হয়। জন্মলগ্ন থেকেই তালিবান জঙ্গিদের নিজেদের ডোলে আনার চেষ্টা শুরু করে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।