সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রদ্রোহ (Sedition) আইনকে অসাংবিধানিক বলে আখ্যা দিল লাহোর হাই কোর্ট (Lahore High Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে বলা হয়, বাকস্বাধীনতার বিরোধিতা করে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইন। স্বাধীনতার আগের এই আইন বর্তমান সংবিধানের আদর্শের সঙ্গে খাপ খায় না বলেই রায় দিয়েছে লাহোরের আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এই রায়ের বিরোধিতা না করলে গোটা পাকিস্তানে (Pakistan) কার্যকর হবে লাহোর হাই কোর্টের রায়।
আইনজীবী, সাংবাদিক-সহ সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকের তরফে একাধিক আবেদন হয়েছিল লাহোর হাই কোর্টে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা আইনের অপব্যবহার করছে পাক সরকার। বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী এই আইন বাতিল হোক, এমনই আবেদন জানানো হয় আদালতের কাছে। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: পর্ন তারকার মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ! প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আদালতে অভিযুক্ত ট্রাম্প]
এই মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীরা বলেন, ১৮৬০ সালে ব্রিটিশরা রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রণয়ন করে। তারপর ১৫০ বছর কেটে গিয়েছে। পাক সংবিধানের ১৯ ধারায় বাকস্বাধীনতার উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ফলে সেই অধিকার খর্ব হচ্ছে। তাই এহেন আইন বাতিল করে দেওয়া উচিত। শুনানির পর বিচারপতি শাহিদ করিম রায় দেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আসলে অসাংবিধানিক। আপাতত গোটা দেশেই কার্যকর হবে লাহোর আদালতের এই রায়।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বলে বিরোধীদের হেনস্তা করছে শাহবাজ শরিফের সরকার, বহুবার এমন অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছে পাকিস্তান সরকার। বৃহস্পতিবারের রায়ের পর বেশ ধাক্কা খাবে পাক সরকার, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।