সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর মাটিতে ভিনগ্রহীদের যাতায়াত নিয়ে বিজ্ঞান মহলে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে অনন্ত মহাশূন্যে ভিনগ্রহীর উপস্থিতি যে একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো বিষয় নয় তা মেনে নেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ভিনগ্রহী নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলতে থাকা যুক্তি তর্কের ভিড়ের মাঝেই এবার প্রকাশ্যে এল এমন এক সূত্র যা দেখে কার্যত রোমাঞ্চিত পৃথিবীর বিজ্ঞানমহল। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে উদ্ধার হয়েছে বেশকিছু মমি। যার সঙ্গে পৃথিবীর প্রাণীর কোনও মিল নেই। যদিও সেগুলির শরীরের আদল অনেকটা মানুষের মতো।
গত জানুয়ারি মাসে পেরুর নাজকা এলাকায় মাঠে কৃষিকাজ করার সময় মাটির নিচে আশ্চর্য এমন একাধিক মমি খুঁজে পান সেখানকার কৃষকরা। যার হাতে ও পায়ে তিনটি করে আঙুল। এবং মাথার গড়ন অনেক বেশি লম্বাটে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর মমিটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় বিজ্ঞানীদের কাছে। সেখানেই বিশ্লেষণ করে দেখা যায় মমিগুলি গড়ন ভীষণরকম অদ্ভুত। একাধিক পরীক্ষার পাশাপাশি মমির আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা দেখেন এই আঙুলের ছাপ কোনওভাবেই মানুষের হতে পারে না। এর পরই জল্পনা চরম আকার নেয়।
উদ্ধার হওয়া মমি।
[আরও পড়ুন: বিদেশে পড়তে গিয়ে ৫ বছরে মৃত ৬৩৩ ভারতীয় পড়ুয়া! তালিকায় শীর্ষে কানাডা]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওয়া যাওয়া ওই মমিটির মাথা অস্বাভাবিক রকমের লম্বা। এবং হাতে ও পায়ে ৩টি করে আঙুল। উদ্ধার হওয়া হাফ ডজন মমির মধ্যে 'মারিয়া' নামের একটি মমির পরীক্ষা করে দেখেন এবিষয়ে অভিজ্ঞ ম্যাকডওয়েল নামের এক তদন্তকারী। পরীক্ষার পর তিনি বলেন, ওই মমির আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওই আঙুলের ছাপ কোনওভাবেই মেলে না। এগুলি বড়ই অস্বাভাবিক, সোজা ও লম্বা রেখা বিশিষ্ট। সাধারণত মানুষের হাতের রেখা হয় চক্রাকার ও তাতে অনেকগুলি লুপ থাকে। এটা কখনও মানুষের হাতের ছাপ হতে পারে না। এমনকী ম্যাকডওয়েলও দাবি করেন, এমন আঙুলের ছাপ তাঁর এত বছরের অভিজ্ঞতায় কখনও দেখেননি তিনি। আশ্চর্য এই দেহগুলিকে 'ভিনগ্রহীর' দেহ হিসেবে দাবি করছেন কেউ কেউ।
[আরও পড়ুন: ‘৪ বছর পর খ্রিষ্টানদের আর ভোট দিতে হবে না’, প্রচারে মেরুকরণের অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে]
যদিও দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এগুলিকে ভিনগ্রহীতো দূরের কথা মমি হিসেবেও মানতে নারাজ পেরুর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ভিনগ্রহীর দাবিকে পুরোপুরি খারিজ করা হয়েছে তাদের তরফে। ফরেনসিক প্রত্নতাত্ত্বিক ফ্ল্যাভিও এস্ট্রাদার নেতৃত্বে একটি দল উদ্ধার হওয়া মমিগুলির পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিল। এস্ট্রাদা বলেন, এটি কোনও অতিপ্রাকৃত প্রাণী নয়, এমনকি এলিয়েনও নয়। এগুলি এই গ্রহেরই প্রাণীদের হাড়, কাগজ, ধাতু এবং সিন্থেটিক আঠা দিয়ে তৈরি আধুনিক পুতুল ছাড়া আর কিছুই নয়।