সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছিল। পাত্র-পাত্রী দুজনেই মণ্ডপে হাজির। হইহুল্লোড় করছেন আত্মীয়স্বজনরা। এমন সময় আগমন ঘটে কনের বাড়ির লোকজনের। জীবনের বিশেষদিনে নবদম্পতিকে আশির্বাদ করার বদলে মেয়েকে টেনেহিঁচড়ে সেখান থেকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছেন মা। বাধা দিতে এলে পাত্রপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মেয়ের বাড়ির লোকজন। এমনকি চোখে মুখে লঙ্কার গুঁড়োও ছিটিয়ে দেন তাঁদের। দুদিন আগেই ভাইরাল হয়েছে এমনই এক ঘটনার ভিডিও। যা দেখলে মনে হবে কোনও সিনেমার অংশ। কিন্তু বাস্তবেই 'ফিল্মি' এই ঘটনা ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার কদিয়াম।
জানা গিয়েছে, ডিপ্লোমা পড়তে গিয়ে গঙ্গাভারম স্নেহা এবং বাটিনা ভেঙ্কটানান্দুর মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। যা গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। সেই সময় গত ১৩ এপ্রিল মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করে নেন তাঁরা। এর পর স্নেহা চলে আসেন ভেঙ্কটানান্দুরর বাড়িতে। তখনই সকলে সিদ্ধান্ত নেন ২১ এপ্রিল ধুমধাম করে ফের চারহাত এক করা হবে তাঁদের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল স্নেহার পরিবারকেও। সেই মতোই গত রবিবার সাজানো হয়েছিল বিয়ের আসর। নিষ্ঠাভরে সমস্ত নিয়ম পালন করছিলেন দুজনে। কিন্তু তার পর যা ঘটল তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি সেখানে উপস্থিত সকলে।
[আরও পড়ুন: কত টাকায় লড়েছিলেন জীবনের প্রথম মামলা? গোপন তথ্য ফাঁস প্রধান বিচারপতির]
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিয়ে চলাকালীন সিনেমার ভিলেনের মতো এসে হাজির হন স্নেহার মা। মেয়েকে টেনে হিঁচড়ে মণ্ডপ থেকে বের করার চেষ্টা করেন। তাঁকে সঙ্গ দেন স্নেহার বাকি আত্মীয়রাও। হুলুস্থুল পড়ে যায় ছাদনাতলায়। কিন্তু রুখে দাঁড়ান ছেলের বাড়ির লোকজন। সকলেই হাতাহাতিতে জড়ান। সেই সময় নাকি ভেঙ্কটানান্দুর বাড়ির লোকজনের মুখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন স্নেহাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলের বাড়ির কাছে হার মানতে বাধ্য হন মেয়ের বাড়ির লোকজন।
এই ঘটনায় আহতও হয়েছেন ভেঙ্কটানান্দুর এক আত্মীয়। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। স্নেহার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভেঙ্কটানান্দুর পরিবার। এই ঘটনা নিয়ে স্নেহা জানিয়েছেন, "আমার মা, ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়রা আমাকে অপহরণ করতে এসেছিলেন। সেখানে যাঁরা ছিলেন তাঁদের চোখে লঙ্কার গুঁড়োও ছিটিয়ে দেন।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।