shono
Advertisement

প্রাণের স্পন্দনের প্রমাণ! মঙ্গলের মাটিতে মিলল ব্যাকটিরিয়া

এই ব্যাকটেরিয়াই আপনার এবং আপনার পড়শি গ্রহের মধ্যে একমাত্র ‘কমন ফ্যাক্টর’৷ The post প্রাণের স্পন্দনের প্রমাণ! মঙ্গলের মাটিতে মিলল ব্যাকটিরিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:02 PM May 31, 2019Updated: 06:02 PM May 31, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটা ডেস্ক: ‘সালফিউরিহাইড্রোজেনিবিয়াম ইয়েলোস্টোনেন্স’-এর নাম শুনেছেন? পড়েছেন বা জেনেছেন?সব উত্তরই ‘না’ হলে এবার তবে জেনে নিন৷ কারণ, এই ব্যাকটেরিয়াই আপনার এবং আপনার পড়শি গ্রহের মধ্যে একমাত্র ‘কমন ফ্যাক্টর’৷ এই পৃথিবীর মাটিতেও আছে, আবার মঙ্গলের
জমিতেও আছে। আর তাই, এই গ্রহের মতো পড়শি, লাল গ্রহের মাটিতেও দেখা যায় কাবাকা, সর্পিল পাথরের সারি। একঝলক দেখলেই মনে হবে, যেন থরে থরে সাজানো রয়েছে এক প্লেট, পাস্তা!

Advertisement

[আরও পড়ুন: শুল্ক যুদ্ধে এবার চিনের নিশানায় মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডার]

হ্যাঁ, পাস্তা। বিজ্ঞানীরাই মানছেন, ‘সালফিউরিহাইড্রোজেনিবিয়াম  ইয়েলোস্টোনেন্স’কে দেখতে অবিকল পাস্তার মতোই। আর এই ব্যাকটিরিয়ার হদিশ মঙ্গল গ্রহের রুক্ষ মাটিতে মেলায় জানান দেয়, বিলক্ষণ প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে সেখানে। তবে ব্যাকটিরিয়ার এত বড় নাম তাঁরা নিজেদের স্বার্থেই বদলে, সংক্ষিপ্ত করে নিয়েছেন। কাজেই ‘সালফিউরিহাইড্রোজেনিবিয়াম ইয়েলোস্টোনেন্স’-এর নয়া সংস্করণ হয়েছে ‘সালফিউরি’, যার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ব্রুস ফক একে একে চিনিয়ে দিচ্ছেন সেসব। এক, প্রচণ্ড গরমেও এই ব্যাকটেরিয়া নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে। আর তাই বেশিরভাগ সময় এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান মেলে ফুটতে থাকা ভৌমজলের অন্দরে। দুই, সূর্যরশ্মি বা আরও স্পষ্ট করে বললে অতিবেগুনী রশ্মির
কোনও প্রভাব এই ব্যাকটিরিয়ার উপর পড়ে না। তিন, যে পরিবেশে অক্সিজেন স্বল্পমাত্রায় রয়েছে, সেখানে বেড়ে উঠতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। কারণ, এটি পুষ্টি সঞ্চয় করে সালফার এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড থেকে। আর এই সব কিছু মিলিয়েই এই ব্যাকটেরিয়া পৃথিবী এবং মঙ্গল, দুই গ্রহেই নিজের উপস্থিতি ধার্য
করে নিয়েছে আঁকাবাঁকা পাস্তার স্তূপের মতো অভিনব শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্যকে সঙ্গী করে।

পৃথিবীতে সালফিউরি ব্যাকটেরিয়ার আগম ঘটেছিল প্রায় ২.৩৫ বিলিয়ন বছর আগে। তখন, যখন পৃথিবীর পরিমণ্ডলে অক্সিজেন সঞ্চার হয়েছিল। ব্রুসের কথায়, এই ব্যাকটেরিয়া এককভাবে থাকতে পারে না। থাকে সংঘবদ্ধভাবে। স্তরে, স্তরে। একটি ব্যাকটেরিয়া অপরটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। যেহেতু একটি বিশেষ ধরনের পাথরের জন্মে অনুঘটক হিসাবে এই ব্যাকটেরিয়া কাজ করে, তাই দূর থেকে একে দেখতে লাগে পাস্তার মতো। যেন কেউ অনেকখানি পাস্তা, মাটিতে
এক সঙ্গে, এক জায়গায় ছড়িয়ে রেখেছে। কিন্তু কোন ধরনের পাস্তা? এই ইটালিয়ান পদের তো অনেক রকমফের রয়েছে। ব্রুসের উত্তর, “ফেত্তুচিনি পাস্তা, ক্যাপেলিনি কখনওই নয়।”

[আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর রান্নাঘরে স্নান করছেন কর্মী! ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু তুমুল বিতর্ক]

অপরদিকে নাসার খবর,মঙ্গলের বুকে অভিযান চালিয়ে এই প্রথম কিউরিওসিটি রোভারের হাতে এল সর্বাধিক পরিমাণ কাদামাটি। লালগ্রহের ‘ক্লে-বিয়ারিং ইউনিট’ এলাকায় ‘অ্যাবারলেডি’ এবং ‘কিলমারি’ নামের ভিন্ন দুই প্রজাতির শিলাজমিতে সম্প্রতি খননকাজ চালিয়েছিল রোভার। তাতেই মিলেছে সাফল্য। গত ১২
মে  এই লক্ষ্যপূরণ হলেও নাসার তরফে সম্প্রতি এই খবর জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্রহের উত্তরাংশে ভেরা রুবিন এলাকার পাথরে হেমাটাইটের হদিশ
মিলেছে।

The post প্রাণের স্পন্দনের প্রমাণ! মঙ্গলের মাটিতে মিলল ব্যাকটিরিয়া appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement