সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুযুধান দুই প্রাক্তন সোভিয়েত দেশের সংঘাত ক্রমে মাত্রা ছাড়াচ্ছে। আলোচনার টেবিলে বসার কথা বললেও অবস্থান থেকে এক ইঞ্চি নড়তেও রাজি নয় কেউই। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বুধবার গভীর রাতে কিয়েভে হানা দেয় বেশ কয়েকটি রুশ ড্রোন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে হামলা। এনিয়ে চলতি মাসে অন্তত বারোবার কিয়েভের আকাশে প্রবেশ করেছে রুশ ড্রোন। এদিকে, জেলেনস্কি বাহিনী দাবি করেছে যে, তাদের পালটা আক্রমণে রাশিয়ার প্রয়াস ব্যর্থ হয়েছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের গুলিতে ধ্বংস হয়েছে হামলাকারী ড্রোনগুলি। টেলিগ্রামে কিয়েভের সামরিক প্রশাসক সের্হেই পোপকো বলেন, “কয়েক দফায় ধেয়ে এসেছিল রাশিয়ার ড্রোনগুলি। তাদের গুলি করে নামানো হয়েছে।”
কয়েকদিন আগেই পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুট দখল করার কথা গোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত দশ মাস ধরে ৭০ হাজার নাগরিকের এই শহরের দখল নিতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে রুশ সেনা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করেছিল রুশ সেনা। তারপর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি যুদ্ধের। এর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘ সংঘর্ষের সাক্ষী লবণ-খনির শহর বাখমুট। অবশেষে তা দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। এর আগে কিয়েভের তরফে জানানো হয়েছিল, লড়াই চলছে। তবে পরিস্থিতি ‘কঠিন’।
[আরও পড়ুন: মন্দির রক্ষায় সরব মোদি, হামলাকারীদের শাস্তির আশ্বাস আলবানিজের]
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে ত্রাস সৃষ্টি করছে রাশিয়ার (Russia) ‘কামিকাজে’ বা আত্মঘাতী ড্রোন। কয়েকদিন আগেই কিয়েভ-সহ একাধিক শহরের বুকে আকাশ থেকে মৃত্যুদূতের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে বিস্ফোরক ঠাসা চালকবিহীন উড়ন্ত যানগুলি। প্রাণ হারান অনেকেই। তাই এবার রুশ ফৌজকে পালটা মার দিতে প্রস্তুত ইউক্রেনীয় সেনা। গোপনে একটি অত্যাধুনিক অস্ত্রও তৈরি করেছে তারা বলে খবর।
সূত্রের খবর, রুশ ড্রোনের পালটা এবার নিজস্ব আত্মঘাতী ড্রোন বাহিনী তৈরি করে ফেলেছে ইউক্রেন। এই নয়া ড্রোন ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম। প্রায় ৭৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক নিয়ে উড়তে সক্ষম এই যানগুলি। ফলে রুশ ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ইউক্রেনের অস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে। ইউক্রেনীয় অস্ত্রনির্মাণকারী সংস্থা ‘Ukroboronprom’ গতবছর জানিয়েছিল, ড্রোন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। কয়েকদিনের মধ্যেই তা সেনাবাহিনীর হাতে চলে আসবে।