সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে না বসতেই দাদা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে (Nawaz Sharif) দেশে ফেরাতে সক্রিয় শাহবাজ শরিফ। পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর, পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) প্রধানের কূটনৈতিক ভিসার ব্যবস্থা করতে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ভিসা ইস্যু করার ব্যাপারে তাঁকে ব্রিফও করেছেন কূটনৈতিক শাখার অফিসাররা।
[আরও পড়ুন: উপহার পাওয়া বহুমূল্য হার বিক্রি ইমরানের, তদন্ত শুরু প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে]
নওয়াজ ইদের পরই পাকিস্তান ফিরতে পারেন বলে খবর। বর্তমানে তিনি আছেন লন্ডনে। সেখানকার পাকিস্তানি মিশনকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, নওয়াজ ও প্রাক্তন পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক দারকে কূটনৈতিক ভিসা ইস্যু করতে হবে। যদিও শুধু নওয়াজকেই কূটনৈতিক ভিসা দেওয়া যাবে, দারকে নয়, জানিয়েছেন কূটনৈতিক অফিসাররা। তাই দারকে সাধারণ পাকিস্তানি পাসপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
সদ্য প্রাক্তন হওয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পিটিআই সরকার গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নওয়াজের পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করতে রাজি হয়নি, যদিও তত্কালীন অভ্যন্তরীণমন্ত্রী শেখ রশিদ জানিয়েছিলেন, নওয়াজ দেশে ফিরতে চাইলে বিশেষ সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
পানামা পেপার্স মামলায় ২০১৭য় পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গদি চলে গিয়েছিল নওয়াজের। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করে ইমরান সরকার। ২০১৮য় অ্যাকাউন্টেবিলিটি কোর্ট আল-আজিজিয়া স্টিল মিল দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে সাত বছরের কারাবাসের সাজা দেয়। পাশাপাশি অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায়ও সব মিলিয়ে মোট ১১ বছরের জেল হয় তাঁর। তদুপরি ৮ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানাও হয়। নওয়াজের সামনে অন্ধকার ভবিষ্যত তখন। যদিও ২০১৯ এর অক্টোবর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ৮ সপ্তাহের জামিন পান। মাসখানেক পরই চার সপ্তাহের জন্য বিদেশে চিকিত্সা করাতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় তাঁকে। সেই যে পাকিস্তান ছাড়লেন, আর দেশমুখো হননি তিনি। লন্ডনেই রয়ে গিয়েছেন। ইমরান বারবার তাঁর বিদেশে চিকিত্সা করতে যাওয়ার সমালোচনা করেছিলেন, এমনকী এও বলেছিলেন যে, তাঁকে বিদেশ যেতে দেওয়াটাই সরকারের বড় ভুল ছিল।
এখন পাকিস্তানে জমানা বদলেছে। দেশের সর্বেসর্বা ভাই। তাই তাঁর দেশে ফেরা আটকায় কে? যদিও নওয়াজের দলের এক শীর্ষ নেতার দাবি, উনি দেশে ফিরে বিচার ব্যবস্থা, আইনের মুখোমুখি হবেন। বিশেষ খাতির বা নৃশংস ব্যবহার, তাঁর প্রতি কোনওটাই হবে না বলে আমাদের প্রত্যাশা।