সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষামঙ্গলের গানে দিন শুরু হয় এখানে, শেষ হয় জ্যোৎস্নারাতের অপার্থিব সৌন্দর্যে৷ বসন্তে পলাশের আগুনে আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে শুশুনিয়া৷ একদিকে ইতিহাসের ঐতিহ্য, অন্যদিকে প্রকৃতির অপার ঐশ্বর্য, দুইয়ের সংমিশ্রণে পর্যটকদের সপ্তাহান্তের ছুটি কাটানো আদর্শ ঠিকানা হয়ে উঠেছে প্রকৃতির এই স্বর্গরাজ্য৷
কী দেখবেন –
- ইতিহাসপ্রেমীদের কাছে আদর্শ এই স্থান৷ চতুর্দিকে ছড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের নানা নিদর্শন৷ যার মধ্যে বেশ কিছু প্রস্তরযুগের নিদর্শনও রয়েছে৷
- বলা হয় রাজপুত রাজা চন্দ্র ভার্মার দূর্গ ছিল এখানে৷
- পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম শিলালিপিটিও এখানেই রয়েছে৷
- বর্তমানের ভান্ডারে রয়েছে অজস্র খনিজ সম্পদ৷
- রয়েছে শাল-পিয়াল-আমলকির দিগন্ত বিস্তৃত শোভা৷
- ১৫০০ ফুট শুশুনিয়া পাহাড়ের নিচে দিয়ে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী৷ সঙ্গে বাড়তি পাওনা ছোট ছোট প্রাকৃতিক ঝরণাগুলি৷
- আপনি চাইলে অলস বিকেলে বসে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে পারেন৷ আবার চাইলে মেতে উঠতে পারেন রক ক্লাইম্বিং-এর নেশায়৷
- পাহাড়ের গায়েই রয়েছে প্রাচীন মূর্তি৷ যাকে নরসিংহ দেবতা বলে পুজো করে থাকেন স্থানীয়রা৷
- দেখে আসতে পারেন কাছের দুই গ্রাম হাদাল আর নারায়ণপুরের টেরাকোটা মন্দির৷ নেতকমলা আর বিন্ধ্যজাম গ্রামে পেতে পারেন ডোকরা শিল্পীদের খোঁজও৷
- কাছেই শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাসের বাসভূমি৷ সেটি দেখে আসতে ভুলবেন না৷
কীভাবে যাবেন –
হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে নামতে হবে ছাতনা রেল স্টেশনে৷ ছাতনা থেকে শুশুনিয়ার দূরত্ব ১০ কিলোমিটার৷ বাঁকুড়া বা দুর্গাপুর থেকে বাসে বা গাড়িতেও শুশুনিয়া পৌঁছনো যায়৷
কোথায় থাকবেন –
থাকার জায়গা এখানে তিনটে- কোলে বাংলো, রামকৃষ্ণ লজ আর গ্রিন লজ৷ তিন মাথার মোড়ের মাথায় বেশ কয়েকটা ঝুপড়ি দোকান আছে৷ সেখানে আগে থেকে বলে রাখলে রান্না করে রাখা হয়৷
The post ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যের এই ভান্ডার যেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য appeared first on Sangbad Pratidin.