shono
Advertisement

এবার দূরে থেকেও চুমুর যন্ত্রে মিলবে প্রিয়জনের ঠোঁটের উষ্ণতা, বাজারে আসছে ‘কিসিং ডিভাইস’

আসল ঠোঁটের স্পর্শ দেবে যন্ত্র, দাবি সংস্থার।
Posted: 05:29 PM Feb 26, 2023Updated: 05:39 PM Feb 26, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৫৩। সাড়ে চুয়াত্তর। তুলশি চক্রবর্তী অভিনীত মধ্য বয়স্ক চরিত্র স্ত্রীর কাছে আক্ষেপ করে, আগে আগে ঘন ঘন চিঠি পেতেন। সেই ‘প্রেমপত্রে’ থাকত ‘প্রাণনাথ’, ‘প্রাণসখা’ সম্বোধন। এখন সংসারের পাকচক্রে চুরমার প্রেম। শুধু ভালবাসার সম্বোধনই বা কেন, সেকালে গোপন পত্রযোগে ঠোঁটের ছাপ, পক্ষান্তরে চুম্বন পৌঁছাত প্রিয়জনের কাছে। যুগ বদলেছে। এখন পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকা যুগল ভিডিওকলে কথা বলেন। ভারচুয়ালি ঘনিষ্ঠ হন। সেখানে ‘ফ্লায়িং কিস’ বা প্রতীকী চুম্বন স্বম্ভব। কিন্তু ওই ভিডিওকলেই যদি প্রকৃত চুমুর স্বাদ মেলে! বাস্তবিক এমন ‘চুম্বন যন্ত্র’ আবিষ্কার করেছে চিনের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা।

Advertisement

দূরে থাকা যুগলদের খাঁটি চুম্বনের আস্বাদ দিতেই চিনের (China) সাংঝাউ প্রদেশের সংস্থাটি তৈরি করেছে আশ্চর্য যন্ত্র। যা নিবিড় করে তুললে সক্ষম প্রেমিক ও প্রেমিকার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তকে। মিলবে ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ানোর উষ্ণতাও। দাবি সংস্থার। ঠোঁটের মতোই দেখতে এই ‘কিসিং ডিভাইস’কে (Kissing Device)। এতে রয়েছে ‘প্রেশার সেন্সর’ এবং ‘অ্যাকিউরেটরস’ যা ব্যবহারকারীকে আসল ঠোঁটের স্পর্শ দেবে। এমনকী বিজ্ঞানীদের দাবি, গভীর চুম্বনে ঠোঁটের যে উষ্ণতা, নড়াচড়া বা চাপ অনুভূত হয়, তাও পাওয়া যাবে।

[আরও পড়ুন: অলৌকিক! ২০ ফুট গভীর কুয়োতে পড়েও জীবিত সদ্যোজাত, রাতভর ফণা তুলে পাহারায় সাপ]

আশ্চর্য যন্ত্রের অন্যতম কারিগর জিয়াং জংগলি। তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই এমন যন্ত্র তৈরির কথা মাথায় আসে তাঁর। তিনি ও তাঁর প্রেমিকা থাকতেন দেশের দুই প্রান্তে। তাঁদের সম্পর্কের সেতু ছিল ফোন। ফলে চুম্বনের উষ্ণতা থেকে বঞ্চিত ছিলেন তাঁরা। এবার সেই অভাব পূরণ করবে ‘কিসিং ডিভাইজ’। যন্ত্র যখন তা ব্যবহারের পদ্ধতিও রয়েছে। কী সেই পদ্ধতি?

[আরও পড়ুন: ‘কাপুরুষতা’, চিনের অর্থনীতিকে ভারতের থেকে বড় বলায় বিদেশমন্ত্রীকে তোপ রাহুলের]

এর জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপলিকেশন ডাউনলোড করতে হবে। এর পর ফোনের চার্জ দেওয়ার পোর্টে যন্ত্রের প্লাগ গুঁজে দিতে হবে। এবার ভিডিওকল করে যন্ত্রে মুখ দিয়ে চুম্বন করলেই অপরপ্রান্তে থাকা প্রিয়জনের কাছে পৌঁছবে প্রেমের উষ্ণতা। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালেই সিলিকন দিয়ে তৈরি একটি ‘টাচ-সেনসিটিভ’ সিলিকন প্যাড বাজারে এসেছিল। তার নাম ছিল ‘কিসিংগার’। সেও ছিল ‘প্রাণনাথ’, ‘প্রাণসখা’দের একাকিত্ব মোছার যন্ত্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement