সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন টেসলা কর্তা এলন মাস্ক। সোশাল মিডিয়ায় নিজেই সে কথা জানিয়েছেন টেসলা কর্তা। এবার তাঁকে নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাস্কের প্রশংসা করে জানালেন, শিগগিরি তাঁকে সঙ্গে নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তিনি।
ট্রুথ সোশালে ট্রাম্পকে লিখতে দেখা গিয়েছে, 'আমি আগামিকাল দুপুর দেড়টায় (স্থানীয় সময়) ওভাল অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করব এলন মাস্ককে নিয়ে। এটাই হবে ওঁর এখানে শেষ দিন। কিন্তু আসলে তা নয়, কেননা উনি এখানে থাকবেন চিরকাল। এলন দুর্দান্ত। আগামিকাল আপনার সঙ্গে দেখা হবে।'
যদিও মার্কিন প্রশাসনের বিশেষ কর্মকর্তারূপে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৩০ দিনের জন্য। সেই ১৩০ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা শুক্রবারই। তবে ট্রাম্প সেই মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাস্কও একদিন আগে পদত্যাগ করলেন, ফলে বন্ধু বিচ্ছেদের জল্পনা স্বাভাবিক। কিন্তু কী কারণে দু'জনের সম্পর্ক এই জায়গায় পৌঁছল?
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর নতুন প্রশাসনে যুক্ত করেন এলন মাস্ককে। কিন্তু ৬ মার্চ, বৃহস্পতিবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাবিনেট বৈঠকে ট্রাম্প পরিষ্কার করে দিয়েছেন, DOGE-এর প্রধান হওয়া সত্ত্বেও এলন মাস্ক কোনওভাবেই নিয়োগ বা ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। তখন থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। ট্রাম্পের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ নিয়েও মাস্কের আপত্তি ছিল। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ''কোনও বিল বিগ হতেই পারে। আবার সেটা বিউটিফুলও হতে পারে। কিন্তু আমার জানা নেই একসঙ্গে দুটোই হতে পারে কিনা।'' এই সপ্তাহের গোড়ার দিকে এমন মন্তব্য করার পরই এবার সরে দাঁড়িয়েছেন মাস্ক। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যতই প্রশংসা করুন, আসলে দু'জনের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ক্রমশ চওড়া হয়েছে।
