সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার পাঞ্জাবের আদমপুর বায়ুসেনাঘাঁটিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার একদিন পর বুধবার মোদিকে ‘অনুকরণ’ করে পাকিস্তানের সিয়ালকোট এবং পাসরুর বায়ুসেনাঘাঁটি পরিদর্শনে গেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। বলে রাখা ভালো, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের প্রত্যাঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই দুই পাক সেনাঘাঁটি।
শাহবাজ ছাড়াও এদিন সেখানে গিয়েছিলেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনীর, উপ প্রধানমন্ত্রী ইশাক ডর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, পাক বায়ুসেনা আধিকরিকদের সঙ্গে তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। তবে কী নিয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
মঙ্গলবার ভোরে পাঞ্জাবের আদমপুর বায়ু সেনাঘাঁটিতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে অভিনন্দন জানান জওয়ানদের। পালটা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন জওয়ানরাও। পরে এই অভিজ্ঞতার কথা সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নেন মোদি। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘যাঁরা সাহস, সংকল্প এবং নির্ভীকতার প্রতীক তাঁদের সঙ্গে থাকতে পারাটা এক বিশেষ অভিজ্ঞতা।’
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। ৭ মে ভোর-রাতে পঁচিশ মিনিটের অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। ভেঙে পড়েছে শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনা।
