নন্দিতা রায়: বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে প্রথম পদক্ষেপ। জাপানে পা রাখল ভারতীয় সাংসদদের প্রতিনিধি দল। জেডিইউয়ের সঞ্জয় ঝার ৯ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জাপানের পর আরও চারটি দেশে পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন ওই সাংসদরা।
জাপানে পা রেখেই এদিন টোকিওতে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন সাংসদদের প্রতিনিধিরা। তারপরই চলে যান টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জের সঙ্গে বৈঠক করে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল। সিবি তাঁদের কর্মসূচি সম্পর্কে বুঝিয়ে দেন। তিনি জানান, "জাপান সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যারা পহেলগাঁও হামলার পরই শোকপ্রকাশ করেছিল। আমরা আগামী দিনেও সন্ত্রাস রুকঝতে জাপানের সাহায্য প্রত্যাশা করছি।"
জাপানের পর অভিষেকদের প্রতিনিধিদল একে একে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়াও যাবেন। এই দলটিতে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন সাংসদ ব্রিজলাল, অপরাজিতা সারেঙ্গি, প্রধান বরুয়া, হেমাঙ্গ যোশী, সঞ্জয়কুমার ঝা, জন ব্রিটাস। অভিষেকদের পাশাপাশি আরও একটি প্রতিনিধিদল বুধবার রওনা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকি দলগুলিও বিভিন্ন দেশে রওনা দেবে।
পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশ্বের দরবারে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করার লক্ষ্যে গঠিত এই প্রতিনিধি দলে অভিষেকের সংযুক্তিকরণ তাদের নৈতিক জয় বলেই মনে করছে তৃণমূল শিবির। তাদের মতে, কেন্দ্রের তরফ থেকে সাতটি সংসদীয় প্রতিনিধি দল গঠিত হয় এবং তাদের প্রতিনিধিদলের সদস্যর নাম ঘোষণার পরে একটিমাত্র নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সেটি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাপে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু ফোন করে মমতার সঙ্গে কথা বলার পরেই তিনি অভিষেককে প্রতিনিধি দলের সদস্য করার প্রস্তাব দেন এবং তা মেনে নেন রিজিজু। দেশের ক্ষেত্রে তৃণমূল কতটা আন্তরিক এটা তারই প্রমাণ এবং এটি তৃণমূল নেত্রীর প্রাজ্ঞতার পরিচায়ক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
