সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন যখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, তখন তুরস্ক এবং আজারবাইজান সমর্থন করেছিল পাকিস্তানকে। এর জেরেই এবার ওই দুটি দেশে ভ্রমণ বাতিল করছেন বহু ভারতীয় পর্যটক। বলে রাখা ভালো, সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের বেশ কয়েকটি নামী ভ্রমণ সংস্থা তুরস্ক এবং আজারবাইজানের সব বুকিং বাতিল করেছে। এবার এই দুই দেশকে সরাসরি ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় নাগরিকরাও।
এ প্রসঙ্গে ভ্রমণ সংস্থা ইজমাইট্রিপ এবং ইক্সিগো জানিয়েছে, অনেক হয়েছে আর নয়। একদিকে রক্ত এবং বুকিংয়ের ঢল একসঙ্গে বইতে পারে না। অন্যদিকে, পিকমাইট্রেল নামে অপর একটি সংস্থা তুরস্ক এবং আজারবাইজানে নতুন সমস্ত বুকিং আপাতত বন্ধ রেখেছে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই পাকিস্তানের মাটিতে তুরস্কের সন্দেহজনক তৎপরতা সামনে আসে। পাকিস্তানের ৬টি হারকিউলিস বিমান, করাচি বন্দরে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নজর এড়ায়নি ভারতের। এরপর ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তার পালটা জম্মু থেকে গুজরাট পর্যন্ত লাগাতার ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। চেষ্টা চলে ভারতের সেনা ঘাঁটিতে আক্রমণের। যদিও সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় পাকিস্তানের।
এরপর সেনার তরফেও জানা যায়, ভারতের মাটিতে যে পাক আছড়ে পড়েছিল তার বেশিরভাগ ছিল তুরস্কের ড্রোন। এই ডামাডোলের মাঝেই প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট যেখানে দাবি করা হচ্ছে, তুরস্ক কেবল ৩৫০টিরও বেশি ড্রোন দিয়ে পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করেনি, বরং নিজের দেশ থেকে সেনা ও অপারেটরও পাঠিয়েছিল। তুরস্কের সেনা আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই ৭ ও ৮ মে রাতে ড্রোন হামলা চলে ভারতে। কীভাবে ড্রোন পরিচালনা করতে হবে তার প্রশিক্ষণও দেয় তুরস্কের সেনা।
