সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেয়াদ আর মাত্র কয়েকদিন। কিন্তু বিদায়বেলায় তাঁর দেশ এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। তাই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেঁদে ফেললেন জাস্টিন ট্রুডো। কান্নাভেজা গলায় তাঁর স্বীকারোক্তি, কানাডার মানুষকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেষ দিন পর্যন্ত কানাডাবাসীকে পরাজিত হতে দেবেন না।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান দল লিবারাল পার্টির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সের দলনেতার পদও ছাড়ছেন বলে ঘোষণা করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার পরবর্তী নির্বাচনে ভোটেই দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। যা ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে অনেকেই মনে করছেন, রাজনীতিকেই ‘টা টা’ করে দিতে চাইছেন ট্রুডো। যদি সেটাই সত্যি হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বিষয়টা অভাবনীয় হবে। কেননা এক দশক আগে এক তরুণ, কর্মতৎপর নেতা হিসেবে উত্থানের পর এত দ্রুত রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন ট্রুডো, এটাকে ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
তবে প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কর্তব্যে অবিচল ট্রুডো। প্রতিবেশী আমেরিকার চড়া শুল্কনীতির জেরে সমস্যায় পড়েছে কানাডা। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের পালটা শুল্ক ঘোষণা করেছে তারাও। শুল্কযুদ্ধে আপাতত রাশ টেনেছে দুই দেশই। কিন্তু ট্রুডোর আশঙ্কা, আগামী দিনে আরও বড় সংকট আসতে চলেছে কানাডার ভাগ্যে। কঠিন সময়ে কানাডাবাসী যেন একজোট থাকেন, বিদায়বেলায় এই বার্তা দিলেন ট্রুডো।
আগামী রবিবার নতুন নেতা বেছে নেবে লিবারাল পার্টি। তার আগে বিদায়ী ভাষণ দিতে গিয়ে ট্রুডো বলেন, "যতদিন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, সবসময়ে কানাডার মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। এখন সরকারের মেয়াদ শেষের দিকে। তবু আমরা কানাডাবাসীকে হারতে দেব না।" উল্লেখ্য, ১০ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রিত্ব সামলেছেন ট্রুডো। তার মধ্যেই কোভিড অতিমারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইজরায়েল-হামাস সংঘাত- সমস্ত কিছু দেখতে হয়েছে তাঁকে। বিদায়বেলায় সেসব কথা মনে করেই চোখে জল ট্রুডোর।
