shono
Advertisement
India Pakistan Tension

নেই রসদ, অস্ত্রশস্ত্রেও ঘাটতি, যুদ্ধ শুরু হলে চারদিনও টিকবে না পাকিস্তান, প্রকাশ্যে রিপোর্ট

আস্ফালনই সার, যুদ্ধ শুরু হলে ল্যাজেগোবরে দশা হবে পড়শি দেশের।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 02:13 PM May 04, 2025Updated: 01:02 PM May 05, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আস্ফালনের সার, যুদ্ধ শুরু হলে চারদিন লড়াই করার মতো অস্ত্রশস্ত্র নেই পাকিস্তানের (Pakistan) হাতে। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলা ও ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের (India Pakistan) মধ্যে উত্তেজনা (Tension) যখন প্রবল আকার নিয়েছে, ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে এল এই রিপোর্ট। তবে অস্ত্রে না পারলেও মুখে লড়াই চালিয়ে যেতে কোনও খামতি রাখছে না পাকিস্তানের মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকরা।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানের কাছে যে পরিমাণ যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে তাতে বড়জোর ৪দিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। তারপরই ল্যাজেগোবরে দশা হবে পড়শি দেশের। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের কারণে বিশেষ করে ১৫৫ মিমি আর্টিলারি শেল রপ্তানির কারণে দেশে অস্ত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া এম ১০৯ হাউইটজার এবং বিএম-২১ রকেট সিস্টেমের গোলাবারুদের মজুদও অত্যন্ত কম। পাক সেনার কাছে বর্তমানে যে পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে তাতে মাত্র ৯৬ ঘণ্টা যুদ্ধ চালানো সম্ভব। রিপোর্ট বলছে, দেশের প্রধান অস্ত্র উৎপাদনকারী সংস্থা পাকিস্তান অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি (পিওএফ) তাদের সীমিত উৎপাদন ক্ষমতার কারণে গোলা বারুদের চাহিদা পূরণে সক্ষম নয়।

পরিস্থিতি যে অত্যন্ত খারাপ, যুদ্ধ বাধলে তার ফল ভালো হবে না বলে আগেই সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট, মুদ্রাস্ফীতি, বাড়তে থাকা ঋণ, জ্বালানি ঘাটতির মতো বহু সমস্যার জেরে একটা সময়ে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ অনুশীলন স্থগিত করতেও তারা বাধ্য হয় বলে সূত্রের খবর। বিপুল সমস্যায় জর্জরিত পাকিস্তান যুদ্ধক্ষেত্রে যে মুখ থুবড়ে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অবস্থায় পাকিস্তানের তরফে লাগাতার পরমাণু হামলা চালানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। শুধু তাই নয়, ভারত যাতে তাদের উপর আক্রমণ না চালায় তার জন্য আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশের কাছে মধ্যস্থতার দাবি জানিয়ে চলেছে শাহবাজ সরকার।

উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। এই হামলার পর দুই দেশের মধ্যেকার উত্তেজনা চরম আকার নিয়েছে। ভারতের তরফে বাতিল করা হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। এই হামলার বদলা যে নেওয়া হবে সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই এনআইএর তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পাক সেনা, আইএসআই-এর ষড়যন্ত্রে এই হামলা চালিয়েছে লস্কর ই তৈবা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • আস্ফালনের সার, যুদ্ধ শুরু হলে চারদিন লড়াই করার মতো অস্ত্রশস্ত্র নেই পাকিস্তানের হাতে।
  • দুই দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনার মাঝেই প্রকাশ্যে এল এই রিপোর্ট।
  • তবে অস্ত্রে না পারলেও মুখে লড়াই চালিয়ে যেতে কোনও খামতি রাখছে না পাকিস্তানের মন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকরা।
Advertisement