সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন সেনার (US Army) ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ল রুশ ফৌজ! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকা মহাদেশের নাইজারে। জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগেই মার্কিন সেনাকে দেশ ছেড় চলে যেতে বলেছিল নাইজারের সামরিক শাসক জুন্টা। তার পরেই মার্কিন সেনার জন্য় নির্ধারিত ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে মুখ খোলেনি কোনও পক্ষই।
গত কয়েকবছর ধরে নাইজারে (Niger) ১ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে আমেরিকা। আফ্রিকার (Africa) নানা দেশে গৃহযুদ্ধ বা সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে আমজনতার প্রাণহানি আটকাতেই ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ। নাইজারে গণতন্ত্র ফেরানোটাও তাদের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে পড়ে বলে দাবি আমেরিকার। কিন্তু গত কয়েকদিনে বারবার আমেরিকার সঙ্গে জুন্টার মতপার্থক্য ঘটেছে। তার জেরেই মার্কিন সেনাকে দেশ ছাড়তে হবে বলে জানিয়ে দেয় জুন্টা। কিন্তু মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগেই নাইজারে 'অনুপ্রবেশ' রুশ ফৌজের (Russia)।
[আরও পড়ুন: বেহাল পাহাড়ি রাস্তা, পাকিস্তানের খাদে বাস পড়ে মৃত অন্তত ২০]
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক আধিকারিক জানান, নাইজারের রাজধানীতে অবস্থিত বিমানবন্দরের পাশেই রয়েছে একটি বায়ুসেনা ঘাঁটি। সেখানে মহড়া শুরু করেছে রাশিয়ার সেনা। তবে মার্কিন সেনার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়নি। কিন্তু কাছাকাছি দুই দেশের সেনার মহড়া চললে অশান্তির আগুন জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা অবশ্যই রয়েছে। কারণ গত দুবছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার জেরে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক একেবারে যুদ্ধং দেহি হয়ে উঠেছে। নাইজারে দুই দেশ সংঘাতে জড়াতে পারে বলে আশঙ্কা। তবে মার্কিন আধিকারিকের কথায়, সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে 'উচ্ছেদ' হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলোর সেনাবাহিনী। মালি এবং বুরকিনা ফাসো ছেড়েছে ফ্রান্সের সেনা। চাদ থেকে সরানো হয়েছে মার্কিন সেনাকেও। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ সেনা পৌঁছেছে নাইজারে। কারণ আফ্রিকার একাধিক দেশের 'বন্ধু' হতে উদ্যোগী হয়েছে মস্কো। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার পশ্চিমি ফৌজকে হঠিয়ে আফ্রিকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে রাশিয়া?