shono
Advertisement

Taliban Terror: স্বমেজাজে জেহাদিরা, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল তালিবান

মহিলাদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে বড়সড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে আফগানভূমে।
Posted: 08:56 AM Sep 29, 2021Updated: 04:26 PM Sep 29, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) দখল নেওয়ার পর মহিলাদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছিল তালিবান। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবারে হয়তো বা কিছুটা শুধরেছে তালিবরা। কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করে স্বমেজাজে ফিরেছে তারা। এবার কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল জেহাদি সংগঠনটি। পড়ুয়া, শিক্ষিকা বা শিক্ষাকর্মী, কোনও মহিলাই আর ঢুকতে পারবেন না কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার চিন্তা বাড়িয়ে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল কিম জং উনের দেশ]

আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে এহেন তালিবানি ফতোয়ায় দেশে মহিলাদের শিক্ষা ও অধিকার নিয়ে বড়সড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সিএনএন সূত্রে খবর, বুধবার এই ফরমান জারি করে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য মহম্মদ আহরফ ঘাইরত বলে, "যতদিন পর্যন্ত দেশে ইসলামি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না, ততদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমি মেয়েদের এখানে প্রবেশ করতে দিতে পারি না। আগে ইসলাম, পরে অন্য সব কিছু।" নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ঘাইরত জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। তবে সেই ব্যবস্থা কী তা স্পষ্ট নয়। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেহাদি উপাচার্য লিখেছে, "শিক্ষিকাদের পর্যাপ্ত সংখ্যা না থাকায় পুরুষরা পর্দার আড়ালে থেকে ছাত্রীদের পড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।"

কয়েকদিন আগেই উচ্চশিক্ষিত ও বর্ষীয়ান মহম্মদ ওসমান বাবুরিকে সরিয়ে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kabul University) উপাচার্য করা হয় তরুণ ও শুধু স্নাতকধারী তালিবানপন্থী আশরফ ঘাইরতকে। যার প্রতিবাদে ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষক। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শিক্ষিত মহল আশরফকে আদপেই পছন্দ করে না। মেয়েদের স্কুল প্রসঙ্গে তিনি কয়েক দিন আগেই বলেছিলেন, ‘‘সেগুলো যৌনদাসী তৈরির কারখানা।"

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি হেলমন্দ প্রদেশের নাপিত এবং স্যালোঁগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দাড়ি কাটা বা ছাঁটা ইসলাম বিরোধী। তাই কেউ দাড়ি কাটতে বা ছাঁটতে এলে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় শাস্তির মুখে পড়তে হবে নাপিতদের। একই ধরনের নির্দেশিকা জারি হয়েছে কাবুলেও।

[আরও পড়ুন: বিদ্রোহীদের উপর বিমান হানা বার্মিজ সেনার, মায়ানমারে তুঙ্গে গৃহযুদ্ধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement