সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়া পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর তার পরই তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। দুই রাষ্ট্রনায়ককে দেখা গেল হাসিমুখে করমর্দন করতে। সেই সঙ্গে বার্তাও দিলেন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে দাড়ি টানতে শান্তিপূর্ণ পথেই সমাধান আনার। অন্যদিকে, আগামিকাল বুধবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদি। আজ এমনটাই জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। সীমান্ত সংঘাত, সমুদ্রে নৌচালনার স্বধীনতা-সহ একাধিক বিষয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
এদিন মোদি পুতিনকে বলেন, ''আমরা বিশ্বাস করি শান্তিপূর্ণ পতেই সমাধান সম্ভব। শান্তি ও স্থায়িত্ব ফেরাতে সমস্ত প্রয়াসকে আমরা পরিপূর্ণ সমর্থন জানাই।'' আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর কামানের গর্জনের মধ্যেই ফের লড়াই থামাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পক্ষেই জোরালো সওয়াল প্রধানমন্ত্রীর।
এদিকে মোদিকে পুতিন বলেন, ''ব্রিকসে ভারত-রাশিয়া সহযোগিতাকে আমরা বাড়তি গুরুত্ব দিই। কেননা আমরা দুই দেশই প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমরা আমাদের আইনসভাগুলির মধ্যে বর্ধিত সহযোগিতা প্রত্যক্ষ করছি। আমাদের বিদেশমন্ত্রীরা নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখছেন পরস্পরের সঙ্গে। এবং বাণিজ্যে ইতিবাচক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।''
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় দ্বিতীয়বার রাশিয়ার মাটিতে পা রাখলেন মোদি। দুদিন সেদেশে থাকবেন তিনি। কাজান শহরের কোরস্তোনের একটি হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থাকার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে নমোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রবাসী ভারতীয়রা। হোটেলে পৌঁছতেই তাঁদেরকে দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মোদি। তাঁর সঙ্গে হাত মেলানোর পাশাপাশি সেলফিও তুলতে দেখা যায় সকলকে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত থামাতে বরাবরই একই সুর বজায় রেখেছে দিল্লি। এর আগেও এই প্রসঙ্গে মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমরা নিরপেক্ষ নই। প্রথম থেকে আমাদের একটাই পক্ষ। আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে। আমরা বুদ্ধের দেশ থেকে এসেছি। যেখানে যুদ্ধের কোনও স্থান নেই। আমাদের দেশ মহাত্মা গান্ধীর দেশ। যিনি গোটা বিশ্বকে শান্তির বার্তা দিয়েছেন।”