সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবাসন নীতির প্রতিবাদে বিদ্রোহের আগুনে জ্বলছে লস অ্যাঞ্জেলস। এই বিদ্রোহ দমনে শহরে সেনা নামানোর পাশাপাশি এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়ে দিলেন, 'আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে এই শহর। লস অ্যাঞ্জেলসকে বিদেশিমুক্ত করবই।' পরিস্থিতি সামাল দিতে শহরজুড়ে জারি হয়েছে কারফিউ জারি করেছেন লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস।
লস অ্যাঞ্জেলসে সেনা নামানোর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও বিরোধীদের আপত্তিকে ফুঁৎকারে উড়িয়ে এদিন ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, 'এই দিন দেখার জন্য আমাদের সেনারা বিদেশের মাটিতে গিয়ে রক্ত ঝরাননি। ক্যালিফোর্নিয়ায় যা হচ্ছে তা শান্তি, আইনশৃঙ্খলা ও দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ। বিদেশি পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা অশান্তি ছড়াচ্ছে।' সেনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে একই সুরে ট্রাম্প বলেন, 'মাত্র কয়েক দশকের ব্যবধানে লস অ্যাঞ্জেলস পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শহরগুলির পরিবর্তে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। পুরো এলাকা এখন আন্তঃজাতিক গ্যাং এবং অপরাধী নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণে। আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসকে মুক্ত করব এবং এটিকে আবার বিদেশি মুক্ত, নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তুলব।'
অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় ঘিরে শুক্রবার থেকেই উত্তেজনা শুরু হয় লস অ্যাঞ্জেলসে। রবিবার কয়েক হাজার আন্দোলনকারী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রতিবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসকাম এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস তাঁদের কাজ করতে না পারেন, যা সবাই জানে যে তাঁরা পারবেন না, তাহলে ফেডারেল সরকার হস্তক্ষেপ করবে এবং সমস্যাটির সমাধান করবে। দাঙ্গাকারী এবং লুটেরাদের ক্ষেত্রে যেভাবে সমাধান করা উচিত।’
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পরে বিক্ষোভের আগুন আরও বাড়ে। এরপরই ন্যাশনাল গার্ডের সঙ্গে মেরিনস বাহিনী নামানো হয় লস অ্যাঞ্জেলসে। সরকারের তরফে জানা গিয়েছে, ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড এবং ৭০০ মেরিনস পাঠানো হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসের বিদ্রোহ দমনে।
