shono
Advertisement

কাশ্মীরিরাই সিদ্ধান্ত নিন তাঁরা কী চান, রাষ্ট্রসংঘের দোহাই দিয়ে নয়া চাল ইমরান খানের

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নির্বাচনের আগে আবারও কূটনৈতিক চাল পাক প্রধানমন্ত্রীর।
Posted: 12:53 PM Jul 24, 2021Updated: 12:53 PM Jul 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) নির্বাচনের আগে প্রচারে এসে ফের কাশ্মীর ‘তাস’ খেললেন ইমরান খান (Imran Khan)। জানালেন‌, কাশ্মীরের মানুষদেরই সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হোক যে তাঁরা পাকিস্তানের (Pakistan) অংশ হতে চান নাকি ‘স্বাধীন দেশে’র বাসিন্দা হবেন। ভারত বরাবরই জানিয়ে এসেছে জম্মু ও কাশ্মীর চিরকালই ভারতেরই অংশ ‘ছিল, আছে ও থাকবে’। কিন্তু পাকিস্তান বারবারই বিতর্ক উসকে দিয়েছে। ইমরানের এদিনের মন্তব্যেও সেই সুরই লক্ষিত হল।

Advertisement

আগামী রবিবার ২৫ জুলাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তরল খল অঞ্চলে নির্বাচন। তার আগে প্রচারে এসে এক বিরোধী নেতার দাবি প্রত্যাখ্যান করেই এমন কথা জানালেন ইমরান। ওই নেতার দাবি ছিল, কাশ্মীরকে নিজেদের রাজ্য হিসেবেই রাখতে চায় পাকিস্তান। সেই দাবিকে উড়িয়ে এদিন ইমরান দাবি করলেন, কাশ্মীরিরা কী চান, সেটা তাঁদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া হোক। তাঁর মতে, শিগগিরি এমন দিন আসবে যেদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মত অনুসরণ করে কাশ্মীরের মানুষকেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এবিষয়ে গণভোটের ‘টোপ’ দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: চ্যাপলিন, পিকাসো, এলভিসদের শিকড় আসলে ভারতে! অবাক করে রোমা জনগোষ্ঠীর ইতিহাস]

একথা সর্বজনবিদিত যে, প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের বিরোধের অন্যতম কারণ কাশ্মীর ইস্যু। ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা (Special status) তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। এরপর থেকে পাকিস্তান বারবার বিষয়টির উত্থাপন করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘে। কিন্তু ভারত কড়াভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এটা একান্তই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর সমাধানের জন্য অন্য কোনও দেশের সঙ্গে আলোচনা চায় না নয়াদিল্লি।

পাকিস্তান বারবারই কাশ্মীর ইস্যুতে বিচ্ছিন্নতাবাদকে উসকে দিয়েছে। শুক্রবার পাক প্রধানমন্ত্রীও সেই কাজ করলেন বলে ওয়াকিবহাল‌ মহলের ধারণা। যদিও ইমরান এর আগেও বারবার দাবি করে এসেছেন, তাঁর সরকার আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুকে তুলে ধরার কাজ করছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কাশ্মীর নিয়ে কূটনৈতিক লড়াই চালাতে গিয়ে মুখ থুবড়েই পড়তে হয়েছে ইমরান সরকারকে। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ভারতের ঘোষণার ঘটনাতেও সব দেশই ভারতকে সমর্থন করেছে। এমনকী পাকিস্তানের ‘পরম বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত চিনও নীরবতা অবলম্বন করে ভারতকেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে।

[আরও পড়ুন: কান্দাহারে নৃশংস হামলা তালিবানের, মৃত শতাধিক আফগান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement