Advertisement
সামরিক শক্তিতে বলীয়ান ভারত, যুদ্ধবিমানের পর এবার সাবমেরিনে সওয়ার মুর্মু, দেখুন ছবি
চলতি বছরেই রাফালে যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
দেশের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস গড়লেন দ্রৌপদী মুর্মু। রবিবার নৌসেনার ডুবোজাহাজ আইএনএস ভাগ্যশ্রীতে সওয়ার হলেন তিনি। এপিজে আবদুল কালামের পর মুর্মু দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি যিনি ডুবোজাহাজে সওয়ার হলেন।
রবিবার কর্নাটকের কারওয়ার নৌসেনা ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। সেখানে দেশের পশ্চিম নৌসেনা কমান্ডের কালভরি সিরিজের সাবমেরিন 'আইএনএস ভাগ্যশ্রী'তে সওয়ার হন তিনি। মুর্মুর এই সফর নৌসেনার ক্ষমতা ও আত্মনির্ভর ভারতের সাফল্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই সাবমেরিন সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠি, কমান্ডিং অফিসার-সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। অত্যাধুনিক এই ডুবোজাহাজের পরিচালন ক্ষমতা, স্টিলথ ফিচার্স ও এর অস্ত্রধারন ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত করানো হয় রাষ্ট্রপতিকে। ভারতীয় নৌসেনার 'আন্ডার ওয়ার্টার ওয়ারফেয়ার নেটওয়ার্ক' সম্পর্কেও বিশদ তথ্য দেওয়া হয় দ্রৌপদী মুর্মুকে।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রপতির এই ডুবোজাহাজ সফর নৌসেনার মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি বার্তা দেয় যে, দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সামরিক প্রস্তুতির সরাসরি অভিজ্ঞতা এবং মূল্যায়নে কতটা সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত। ডুবোজাহাজে থাকা নৌসেনা আধিকারিকরা ঠিক কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন সে বিষয়েও অবহিত করা হয় রাষ্ট্রপতিকে।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তরফে দেশের সামরিক সক্ষমতা খতিয়ে দেখার নজির অবশ্য এই প্রথম নয়, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন তিনি। তারও আগেই সুখোই যুদ্ধবিমান চড়তে দেখা গিয়েছিল মুর্মুকে।
২০০৬ সালে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাবমেরিনে সওয়ার হয়েছিলেন এপিজে আবদুল কালাম। আইএনএস সিন্ধুরক্ষক নামের সেই সাবমেরিন ছিল ভারতের গর্বের প্রতীক। কালামের পর দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবার আইএনএস ভাগ্যশ্রীতে সওয়ার হলেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
P75 স্করপিন প্রকল্পের ষষ্ঠ এবং শেষ সাবমেরিন হল আইএনএস ভাগ্যশ্রী। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নৌবাহিনীতে কমিশন করা হয় এটিকে। ডিজেল ও বিদ্যুৎ পরিচালিত এই সাবমেরিনকে নিশব্দ ঘাতক হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
স্বদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি এই সাবমেরিন শত্রুর র্যাডার ফাঁকি চিয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, এলাকা নজরদারি এবং যুদ্ধ চালানোর জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি একসঙ্গে ১৮টি টর্পেডো নির্ভুল লক্ষ্যে ছুড়তে সক্ষম, এছাড়াও এতে আছে জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক সোনার সিস্টেম। মডিউলার সিস্টেম থাকায় ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে আপগ্রেড করা সম্ভব এই ডুবো জাহাজ। এছাড়াও এতে আছে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রোপালশন (AIP) প্রযুক্তি।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 05:14 PM Dec 29, 2025Updated: 05:14 PM Dec 29, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
