Advertisement
সন্ধ্যা নামলেই আকাশে জ্বলজ্বল করবে শুকতারা! প্রতিবেশী গ্রহের এসব ছবি দেখেছেন?
মিস করবেন না যেন!
২০২৫ সালের শেষটা একেবারে চমকে ভরিয়ে রেখেছে মহাকাশ! একের পর এক বিরল ঘটনা ঘটে চলেছে। কখনও সবচেয়ে উজ্জ্বল চাঁদ, কখনও আকাশে গ্রহ-উপগ্রহদের সমাবেশে 'স্মাইলি' উদয়, কখনও কাছ থেকে প্রতিবেশী শুক্র গ্রহ দৃশ্যমান হওয়া। আর সবটাই ডিসেম্বরে। শেষ কয়েকদিন তো বিশাল মহাকাশ যেন বহু রহস্যের উন্মোচন করে দিচ্ছে। বছরের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিনই সন্ধ্যাকাশে উদয় হবে শুকতারা! অর্থাৎ শুক্র গ্রহ।
জানা যাচ্ছে, ২৯ ডিসেম্বর ডুবন্ত সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তে প্রতিভাত হবে হালকা, নরম নীলাভ সোনালি আলো। তার সঙ্গেই উদয় হবে শুক্র গ্রহ। পশ্চিমাকাশে কোনও বস্তুকে জ্বলজ্বল করতে দেখলে বুঝতে পারবেন, তা অভিনব কিছু নয়, আমাদেরই পাশের গ্রহ শুক্র। রাত যত বাড়বে, তত উজ্জ্বলতাও বাড়বে শুকতারার।
আসলে সন্ধ্যাবেলা শুকতারা দেখতে পাওয়া নতুন কিছু নয়। আকাশ পরিষ্কার, মেঘমুক্ত থাকলে অনেক সময় ভালোভাবে নজর দিলে দেখা যায়। তা 'সন্ধ্যাতারা' নামে পরিচিত। তবে আজ যা দেখা যাবে, তা হল শুকতারার সবচেয়ে সুন্দর রূপ। কারণ, সূর্যের সবচেয়ে কাছে চলে আসবে প্রতিবেশী গ্রহটি। গোধূলিবেলায় ছড়াবে অপরূপ দ্যুতি।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, টেলিস্কোপ ছাড়াই আজ দেখা যাবে শুক্র গ্রহকে। শুধু ঘরের বাইরে বেরিয়ে পশ্চিমের আকাশে চোখ রাখলে সবচেয়ে উজ্জ্বল যে 'তারা' দেখতে পাবেন, সেটাই পৃথিবীর 'বোন'।
সৌরজগতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহ শুক্র। সাড়ে ৪০০ বছর বয়স্ক এই গ্রহটির অবস্থান সূর্য থেকে দূরত্বের নিরিখে পৃথিবীর ঠিক আগে। পৃথিবীর চেয়ে শুক্রের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বেশি। কার্বন-ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ গ্রহে জলের ছিঁটেফোঁটা নেই।
সূর্য এবং পৃথিবীর সাপেক্ষে শুক্রের অবস্থান বড়ই অদ্ভুত। প্রায় রোজই সূর্যাস্তের সময় পশ্চিমাকাশে পৃথিবীর সঙ্গে এমন এক কৌণিক অবস্থান তৈরি হয় যে সূর্যালোকের প্রতিফলনে আকাশে ভেসে ওঠে এই গ্রহ।
তবে আজ প্রথম নয়, ২৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনেও আকাশে দৃশ্যমান হয়েছিল শুক্র গ্রহ। 'গুরুগ্রহ' বৃহস্পতি এবং পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদের সাপেক্ষে এর অবস্থান এমন ছিল যে এই বিন্যাসে আকাশে ফুটে উঠেছিল 'স্মাইলি' সদৃশ এক ছবি।
যদিও আরাবল্লীর অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা। গত ২০ নভেম্বর শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়, পর্বতশ্রেণির ১০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতার অংশ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে। অর্থাৎ ১০০ মিটারের কম উচ্চতার পাহাড়গুলি সংরক্ষণের আওতায় থাকবে না। অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি, আরাবল্লি অঞ্চলের ৯০ শতাংশই ‘সুরক্ষিত’ থাকবে। কীভাবে সম্ভব?
সমাজমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব লিখেছেন, ‘‘আরাবল্লির মোট ১.৪৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে খনির কাজ কেবল ০.১৯ শতাংশ এলাকায় হতে পারে। বাকি সমগ্র আরাবল্লি সংরক্ষিত এবং সুরক্ষিত।’’সরকার আরও জানিয়েছে, আরাবল্লির জন্য প্রাথমিক হুমকি হল, অবৈধ এবং অনিয়ন্ত্রিত খনন। সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এরপরেও অবশ্য ভবি ভুলতে নারাজ।
পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীদের দাবি, ৬৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ আরাবল্লি পাহাড়শ্রেণিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চল’ ঘোষণা করুক সরকার। সেখানে যেন সব ধরনের খননকাজ অবিলম্বে বন্ধ করা হয়। সোমবারই আরাবল্লী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ২০ নভেম্বরের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। শেষ পর্যন্ত এ যাত্রায় কি বেঁচে যাবে আরবল্লী? সেই সঙ্গে আরও কিছুদিন বাঁচবে মানবসভ্যতাও?
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 04:45 PM Dec 29, 2025Updated: 04:52 PM Dec 29, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
