সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার বহু বিতর্কিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এ স্বাক্ষর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে এবার তা আইনে পরিণত হল। বৃহস্পতিবার মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয়েছিল ট্রাম্পের স্বপ্নের এই বিলটি। একদিন পর তা পরিণত হল আইনে। বিলটিতে স্বাক্ষরকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত হয়েছিলেন ট্রাম্পের বহু সমর্থক। এমনকী বিলটির সমর্থনে সেনাবাহিনীর তরফে সামরিক বিমান মহড়ারও আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং সেই প্রতিশ্রিতি রক্ষাও করেছি। দেশকে আগে এত খুশি হয়ে আমি কখনও দেখিনি। এই আইনের মাধ্যমে সমাজে সকল শ্রেণির মানুষ উপকৃত হবেন। সীমান্ত সুরক্ষায় আমেরিকার ইতিহাসে বৃহত্তম বিনিয়োগ হতে চলেছে।”
‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’টি কংগ্রেসে পাশ করাতে সমস্যায় পড়তে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, এমনটাই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। রিপাবলিকান সদস্যরাও ট্রাম্পের বিলের বিরোধিতা করতে পারেন বলে অনুমান করা হয়েছিল। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলটি কার্যকর হলে আমেরিকার ঋণের অঙ্ক বাড়বে, জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি ধাক্কা খাবে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের আরও মত, নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিমার জন্য ট্রাম্প সরকার যে খরচ করে, সেই বরাদ্দতেও কাটছাঁট করা হবে। ফলে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা হারাতে পারেন নাগরিকদের একটা বড় অংশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের হয়ে আসরে নামেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন। ‘বিরোধী’ রিপাবলিকানদের বুঝিয়ে বিলের পক্ষে ভোট দিতে রাজি করান তিনি। ২১৮-২১৪ ভোটে মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হয় ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’।
উল্লেখ্য, ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’টির উদ্দেশ্য কর ও সরকারের ব্যয় সংকোচ। গত সোমবার মার্কিন সেনেটে আলোচনা হয় এই বিল। তারপরেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তাঁর এক সময়ের ‘বন্ধু’ এলন মাস্ক। সরকারি ব্যয় সংকোচের যে বিল নিয়ে এত সংঘাত, ক্ষমতায় এসেই সেই দপ্তরের প্রধান করা হয়েছিল টেসলা কর্তাকে। যদিও সংঘাতের জেরে সেই দপ্তর থেকে বহু আগেই ইস্তফা দিয়েছেন মাস্ক।
