shono
Advertisement
Alien Mummies

খুন হতে হয়েছিল পেরুর রহস্যময় মমিদের! গবেষণায় নয়া মোড়

২০১৭ সালে ওই ২১টি মমি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
Published By: Biswadip DeyPosted: 08:14 PM May 27, 2025Updated: 08:14 PM May 27, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত পেরুর মমিগুলি নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বারবার প্রশ্ন উঠেছে, এগুলি কি মানুষ, নাকি ভিনগ্রহের প্রাণী? ২০২৫ সালে এসেও যে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। এর মধ্যেই মমি রহস্যে নয়া মোড়। বলা হচ্ছে, ওই মমিকৃত শরীরগুলিকে খুন করা হয়েছে। সেগুলির শরীরে যে চিহ্ন মিলেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, অত্যন্ত নৃশংস ভাবে আঘাত করা হয়েছিল তাদের।

Advertisement

২০১৭ সালে ওই ২১টি মমি আবিষ্কৃত হয়েছিল। যদিও অনেকেরই দাবি ছিল, এগুলি নকল। কেউ কেউ বলেন, সম্ভবত পশুদের অস্থি, কাগজ ও আঠার মণ্ড মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এই 'পুতুল'গুলি। আবার এদের হাতে তিনটি করে আঙুল ও লম্বা মাথার খুলি দেখে অনেকেই তাদের ভিনগ্রহী প্রাণীও বলেন। যদিও পরে বিজ্ঞানীরা খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দাবি করেন, এগুলি মোটেই নকল নয়, 'আসল'! এবং এগুলি ১২০০ বছর আগের মমি। কিন্তু এরা আদপে কোথাকার বাসিন্দা ছিল সেসব জানা যায়নি।

এদের মধ্যেই তিনটি মমিকে এবার নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হল। এদের নাম দেওয়া হয়েছে মারিয়া, মন্টসেরাট, অ্যান্টনিও। এদের মধ্যে মারিয়া ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি লম্বা। বয়স ৩৫ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। দেখা যাচ্ছে, মারিয়ার শরীরে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। কোমরের নিচের দিকে ক্ষতচিহ্ন এবং দংশনের চিহ্নও রয়েছে।

আরেকটি মমি মন্টসেরাটের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছর। তার বুকে পাঁচ থেকে ছয়টি কোপ মারার চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও অন্য ক্ষতচিহ্নের দেখা পাওয়া গিয়েছে। পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর থেকে প্রমাণিত এই মমিগুলি আসল। এবং ১০০ শতাংশ খাঁটি। একসময় এরা ছিল এই পৃথিবীতেই। কিন্তু কেন এদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল? আদপে এরা কোথায় থাকত? সেই সব রহস্য এখনও রয়ে গিয়েছে কুয়াশার আড়ালেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ২০১৭ সালে আবিষ্কৃত পেরুর মমিগুলি নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। বারবার প্রশ্ন উঠেছে, এগুলি কি মানুষ, নাকি ভিনগ্রহের প্রাণী? ২০২৫ সালে এসেও যে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
  • এর মধ্যেই মমি রহস্যে নয়া মোড়। বলা হচ্ছে, ওই মমিকৃত শরীরগুলিকে খুন করা হয়েছে।
  • সেগুলির শরীরে যে চিহ্ন মিলেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, অত্যন্ত নৃশংস ভাবে আঘাত করা হয়েছিল তাদের।
Advertisement