সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাফরা এক্সপ্রেস অপহরণের ঘটনায় বালোচ বিদ্রোহীদের কবল থেকে উদ্ধার করা গিয়েছে পণবন্দিদের। প্রায় ৩০ ঘণ্টা তাঁরা ছিলেন বালোচ লিবারেশন আর্মির হাতে বন্দি। আর এই ঘটনায় তালিবান-যোগ দেখছে পাক প্রশাসন। কিন্তু সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তালিবান।
আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি পেশ করে জানিয়েছে, 'পাক সেনার মুখপাত্র বেলুচিস্তান প্রদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলার ঘটনাকে আফগানিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। এই অভিযোগকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। পাকিস্তানকে অনুরোধ, এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করে নিজস্ব নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করতে।'
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। সকাল ৯টা নাগাদ কোয়েটা থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। এরপর দুপুর নাগাদ প্রায় ৫০০ যাত্রী-সহ এই ট্রেনের দখল নেয় বালোচ বিদ্রোহীরা। তাদের দাবি ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে পণবন্দিদের খুন করা হবে। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই পণবন্দিদের সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে এই অপহরণের ঘটনায় বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি, তারা অন্তত ৫০ জন সেনাকে খুন করেছে। অন্যদিকে পাক প্রশাসনের কথায়, বালোচ বিদ্রোহীদের সকলকেই হত্যা করা হয়েছে।
আর এই ঘটনায় পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান থেকেই এই হামলার নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। তালিবানই রয়েছে পুরো বিষয়টির নেপথ্যে। এমনকী, পাক গোয়েন্দাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের কাছে সরাসরি বালোচ নেতাদের সঙ্গে তালিবানের যোগাযোগের নথি পাওয়া গিয়েছে।
