সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১২ দিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অবশেষে থামল ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ। মঙ্গলবার ভারতীয় সকাল সাড়ে ন'টা থেকে শুরু হয় যুদ্ধবিরতি (Israel Iran Ceasefire)। কিন্তু কীভাবে এই অসাধ্য সাধন হল? সূত্রের খবর, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিজে ফোন করে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যস্থতা করেছে কাতারও।
মঙ্গলবার ভোররাতে নিজের সোশাল মিডিয়া ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প জানান, ইরান-ইজরায়েল দু’পক্ষই সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে যাবে। এর শুরুটা করবে ইরান (প্রথম ১২ ঘণ্টা)। তাকে অনুসরণ করবে ইজরায়েল (পরের ১২ ঘণ্টা)। একপক্ষের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করলে অপর পক্ষও শান্তি বজায় রাখবে। ট্রাম্পের ঘোষণামাফিক ইরান জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট সময় থেকেই তারা সংঘর্ষ থামিয়েছে। কয়েকমিনিটের মধ্যে ট্রাম্প আবারও ট্রুথ সোশালে লেখেন, সংঘর্ষবিরতি হয়েছে।
কীভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হল যুযুধান ইরান-ইজরায়েল? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্তা জানান, রবিবার থেকেই যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়েছেন, "আমরা শান্তি ফেরাবই"। ওই কর্তা আরও জানান, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, বিদেশসচিব মার্কো রুবিও এবং আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ নিয়মিতভাবে কথা চালিয়ে গিয়েছেন ইরানের সঙ্গে। অন্যদিকে যুদ্ধ থামাতে 'মরিয়া' ট্রাম্প নিজে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই কর্তা জানান, ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল, "বিবিকে এনে দাও। আমরা শান্তি স্থাপন করব।" উল্লেখ্য, ইজরায়েলের রাজনৈতিক মহলে 'বিবি' নামে পরিচিত নেতানিয়াহু।
যুদ্ধবিরতির এমন ঘোষণা খানিকটা অপ্রত্যাশিতই ছিল আন্তর্জাতিক মহলের কাছে। জানা গিয়েছে, কাতারের আমিরের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প নিজেই। ইরানকে যেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি করা যায়, সেজন্য দোহার সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি ফোন করেন ইরানের শীর্ষ কর্তাদের। ফোনেই ইরানকে যুদ্ধ থামানোর জন্য রাজি করান কাতারের প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরানের হামলার পরেই যুদ্ধ থামাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন ট্রাম্প। তবে কোন শর্তে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে দু'পক্ষ, তা এখনও জানা যায়নি।